বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাসানচরে আরও ১০০৯ রোহিঙ্গা

  •    
  • ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৮:১৭

ভাসানচরে নতুন রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামিয়ে প্রাথমিক মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়। পরে ওয়্যারহাউজে তাদের জড়ো করে জানানো হয় এখানে বসবাসের নিয়ম-কানুন।

চতুর্থ দফার দ্বিতীয় ধাপে আরও ১ হাজার ৯ রোহিঙ্গা নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে পৌঁছেছে।

নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজে করে মঙ্গলবার তাদের ভাসানচর নেয়া হয়। এ সময় ঘাটে ছিলেন নৌবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা নৌবাহিনীর রেডি রেসপন্স বার্থ থেকে তাদের নিয়ে তিনটি জাহাজ ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়। কুয়াশার কারণে চট্টগ্রাম থেকে জাহাজ এক ঘণ্টা বিলম্বে ছাড়ে।

ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহে আলম জানান, রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামিয়ে প্রাথমিক মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়। পরে ওয়্যারহাউজে তাদের জড়ো করে এখানে বসবাসের নিয়ম জানানো হয়।

অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয় জানায়, ভাসানচরে আসা নতুন রোহিঙ্গাদের তিন দিন খাওয়ানো হবে। পরে তাদের দেয়া হবে রেশন।

সোমবার বেলা পৌনে ২টায় চতুর্থ দফায় প্রথম ধাপে ২ হাজার ১০ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে পৌঁছায়। তাদের মধ্যে ৪৮৫ নারী, ৫৭৭ পুরুষ ও ৯৪৮ শিশু।

গত বছরের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ভাসানচরে পৌঁছে ১ হাজার ৬৪২ রোহিঙ্গা। ৭,৮,৯,১০ নম্বর ক্লাস্টারে তাদেরকে রাখা হয়।

প্রথম দফায় ভাসানচরে নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে শিশু ৮১০টি, পুরুষ ৩৬৮ জন ও নারী ৪৬৪ জন।

২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় কক্সবাজার থেকে আরও ১ হাজার ৮০৪ রোহিঙ্গা ভাসানচরে পৌঁছায়। তাদের মধ্যে ১৩০ জন প্রথম দফায় যাওয়া রোহিঙ্গাদের স্বজন।

গত বছরের ৮মে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জল সীমায় ভাসতে থাকা ২৭৭ রোহিঙ্গার আরও একটি দলকে ভাসানচরে নেয়া হয়।

চলতি বছর ২৯ জানুয়ারি তৃতীয় দফার প্রথম ধাপে ভাসানচরে পৌঁছে ১ হাজার ৭৭৬ রোহিঙ্গা। ৩০ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে নেয়া হয় আরও ১ হাজার ৪৬৭ রোহিঙ্গাকে।

এর আগে ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল হাতিয়ায় মেঘনা নদীর বুকে জেগে ওঠা ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ শেষ হয়।

২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হওয়ার কথা থাকলেও আগেই শেষ হয় অবকাঠামো নির্মাণ।

হাতিয়া থেকে প্রায় ৫০কিলোমিটার দূরে ১৩ হাজার বর্গ কিলোমিটার দ্বীপের এ আশ্রয়ন প্রকল্পে ১২০টি গুচ্ছগ্রাম রয়েছে। সেসব এক লাখ রোহিঙ্গার বাসযোগ্য করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর