ভাবির প্রতি ‘কুদৃষ্টি’ এবং উত্ত্যক্তে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে শনির আখড়ায় মা-মেয়েসহ তিন জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত জাহাঙ্গীর আলম পরানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকা থেকে সোমবার তাকে গ্রেপ্তারের দাবি করে র্যাব।
কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১০-এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘সাত থেকে আট বছর আগে শনির আখড়া এলাকায় একই রুমে থাকতেন রুহুল কুদ্দুস বাবু ও জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পরান। তখন পাশের ফ্ল্যাটের মাসুদ কিবরিয়ার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারের প্রতি পরানের কুদৃষ্টি পড়ে। এতে বাধা দেন রুহুল কুদ্দুস বাবু।
‘এ কারণে পরানকে ওই বাড়ি থেকে বের করে দেন বাড়ির মালিক। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পরান বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে ইয়াসমিন আক্তার ও তার পরিবারকে ক্ষতি করার চেষ্টা করেন। এতে আবারও বাধা দেন রুহুল। এর জের ধরে রোববার সন্ধ্যায় পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে চাপাতিসহ বাবুর বাসায় যান পরান।’
র্যাব-১০-এর অধিনায়ক জানান, সেখানে গিয়ে বাবুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন পরান। বাধা দিতে গেলে ইয়াসমিন ও তার মেয়ে মাহমুদাকে কুপিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
এ ঘটনায় পরানকে আসামি করে সোমবার যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন বাবুর বোন বিউটি বেগম।
ডিআইজি মাহফুজুর জানান, আহত তিন জন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে মা-মেয়ের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে আঘাত লাগায় বাবু চোখ খুলতে পারছেন না।