বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভালো সময় এলেই শুরু হয় ষড়যন্ত্র : প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৪:২৪

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের যখন একটু ভালো সময় আসে, যখন মানুষ একটু ভালো থাকার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে, যখন মানুষের জীবনমান একটু উন্নত হয়, তখনই কিন্তু একটা আঘাত আসার আশঙ্কা থাকে।’

বাংলাদেশে ভালো সময় এলেই নানামুখী ষড়যন্ত্র মাথাচাড়া দেয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে মঙ্গলবার একনেক বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের যখন একটু ভালো সময় আসে, যখন মানুষ একটু ভালো থাকার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে, যখন মানুষের জীবনমান একটু উন্নত হয়, তখনই কিন্তু একটা আঘাত আসার আশঙ্কা থাকে।

‘সেই কারণেই সকলকে একটু সতর্ক থাকা দরকার। আজ করোনাভাইরাস শুধু আমাদের ওপর একা না, সারা বিশ্বেই এটি যেভাবে প্রভাব ফেলেছে, এই মহামারি আকার দেখা দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের বাংলাদেশে সীমিত সম্পদ দিয়ে, আমাদের ভৌগোলিক সীমারেখায় ছোট দেশ। কিন্তু জনসংখ্যার দিক দিয়ে বড় দেশ। কিন্তু সেই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

দেশের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের সমস্যাগুলো তো আগে বুঝতে হবে। এ দেশে গণতন্ত্র কখনো অব্যাহতভাবে চলেনি।

‘জাতির পিতাকে হত্যার পর একের পর এক মার্শাল ল’, মিলিটারি রুলার, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী, হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের ওপর অকথ্য অত্যাচার, নির্যাতন, অগ্নিসন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ; তার সাথে আবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সবকিছু্রই কিন্তু মোকাবিলা করতে হচ্ছে। মোকাবিলা করেই আমরা অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছি।’

করোনার প্রভাব কমার আশা

দেশে করোনার আর কোনো প্রভাব থাকবে না বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস মোকাবেলায়ও আমরা সাফল্য অর্জন করেছি এবং করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, ‘ইনশাল্লাহ এটার প্রভাব আমাদের দেশে আর থাকবে না। আমাদের দেশের মানুষও যথেষ্ট সচেতন।’

এ সময় করোনার বিস্তার রোধে সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই করোনা মোকাবিলাতেও আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করে করোনাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের দেশের মানুষের সুরক্ষার জন্যও আমরা বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা দিয়েছি, প্রণোদনা দিয়েছি।

‘সাথে সাথে করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন বা টিকা দেয়া, সেটাও কিন্তু আমরা শুরু করেছি। অনেক উন্নত দেশও কিন্তু এই ভ্যাকসিন আনতে পারেনি।’

তিনি বলেন, ‘যখন এটার গবেষণা হচ্ছিল, তখনই কিন্তু আমরা এই ভ্যাকসিন ক্রয় করার জন্য যে যে জায়গায় গবেষণা হচ্ছিল, সব জায়গায় যোগাযোগ করেছি এবং অ্যাডভান্স টাকা দিয়ে, আগাম অর্থ দিয়ে আমরা বুক করে রেখেছিলাম যে যখনই শুরু হবে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দেবে, আমরা যেন প্রথমেই ভ্যাকসিনটা পাই এবং দেশবাসীকে দিতে পারি। আমরা তা করতে সক্ষম হয়েছি।’

করোনা নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করায় দেশবাসীকে ধন্যবাদও জানান সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘আমি এ জন্য সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, দেশবাসীও ধৈর্য ধরেছে। তাদের সহযোগিতার জন্যই আজকে সেবা করার সুযোগ পাচ্ছি। তারা ভোট দিয়েছিল বলেই আমরা ক্ষমতায় আসতে পেরেছি।

‘আর তা ছাড়া প্রশাসন বলেন, আইনশৃঙ্খলা বলেন, সশস্ত্র বাহিনী বলেন, প্রত্যেকে, আমাদের রাজনৈতিক দল, নেতা-কর্মীরা দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে এবং করে যাচ্ছে। এ কারণেই আমরা করোনাভাইরাসের এ মহামারিতে বিশ্বের অর্থনীতিও যখন অচল, উন্নত দেশও যেখানে ভ্যাকসিন দিতে পারেনি, বাংলাদেশ কিন্তু সেটা পেরেছে এবং একটা দৃষ্টান্ত কিন্তু আমরা দেখাতে পেরেছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জন্য সবচেয়ে কঠিন হলো আমাদের অতি ঘন জনবসতি, যেটা হয়তো অনেক উন্নত দেশে নাই। তাদের কাছে কাজ করা সহজ। যদি অল্পসংখ্যক মানুষ হয় তাহলে তাদের জন্য কাজ করা খুব সহজ হয়ে যায়। কিন্তু আমাদের সেটা না। আর এটা মাথায় রেখেই আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।’

এ বিভাগের আরো খবর