চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরের পথে রওনা দিয়েছে আরও ১ হাজার ১১ জন রোহিঙ্গা।
পতেঙ্গা বোটক্লাবের জেটি থেকে মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে রোহিঙ্গাদের নিয়ে নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজ ছেড়ে যায়।
রিয়ার এডমিরাল মোজাম্মেল হক জানান, সোমবার রাতে কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্প থেকে চতুর্থ দফার দ্বিতীয় দিন ভাসানচরে নিতে রোহিঙ্গাদের চট্টগ্রামে আনা হয়। রাতে তারা বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠের অস্থায়ী ক্যাম্পে ছিলেন।
এর আগে সোমবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ২ হাজার ১০ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে ভাসানচর যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে নারী ৪৮৫ জন, পুরুষ ৫৭৭ জন ও শিশু ৯৪৮ জন।
গত বছরের ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ জন, ২৮ ডিসেম্বর ১ হাজার ৮০৫ জন এবং চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি ১ হাজার ৬৬৭ জন এবং ৩০ জানুয়ারি ১ হাজার ৪৬৭ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।
ভাসানচরে নেয়ার জন্য রোহিঙ্গাদের নৌবাহিনীর জাহাজে তোলা হচ্ছে। ছবি: নিউজবাংলা
হাতিয়ায় মেঘনা নদীর বুকে জেগে ওঠা ভাসানচরে ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ শেষ হয়।
ওই বছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হওয়ার কথা থাকলেও আগেই শেষ হয় সব অবকাঠামো নির্মাণ। হাতিয়া থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে ১৩ হাজার বর্গকিলোমিটারের এই দ্বীপের আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১২০টি গুচ্ছগ্রাম রয়েছে। এতে ১ লাখ রোহিঙ্গা বাস করতে পারবে।
নোয়াখালীর এই দ্বীপটি বাস উপযোগী করা, অবকাঠামো উন্নয়ন, বনায়ন ও নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে।
আধুনিক বাসস্থান ছাড়াও রোহিঙ্গাদের জন্য এখানে বেসামরিক প্রশাসনের প্রশাসনিক ও আবাসিক ভবন, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার ভবন, মসজিদ, স্কুল, হাসপাতাল, ক্লিনিক ও খেলার মাঠ গড়ে তোলা হয়েছে।