বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সৈকতের সৌন্দর্য বাঁচাবে দৃষ্টিনন্দন বাঁধ

  •    
  • ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১১:৫৯

ভাঙন রোধে টেকসই শহর প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফেব্রুয়ারিতে শুরু হতে পারে আধুনিক এই বাঁধ নির্মাণের কাজ। শেষ হবে ২০২৪ সালের জুনে।

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের নগরী কক্সবাজার। সাগরের কারণেই পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে নগরী। আবার সেই সাগরের স্রোতেই নষ্ট হচ্ছে সৌন্দর্য।

বছরের পর বছর নগরীর কলাতলী ভেইলি হ্যাচারি থেকে নাজিরাটেক পর্যন্ত সামুদ্রিক স্রোতে বিলীন হচ্ছে ঝাউবিথি ও বালিয়াড়ি। জিও ব্যাগ ব্যবহার করেও ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না।

এমন বাস্তবতায় ভাঙন রোধে এবার টেকসই শহর প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফেব্রুয়ারিতেই শুরু হতে পারে আধুনিক এই বাঁধ নির্মাণের কাজ। শেষ হবে ২০২৪ সালের জুনে।

সৌন্দর্য বাঁচাতে স্থায়িত্বের পাশাপাশি এই বাঁধ নির্মাণে নান্দনিকতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীণ কুমার গোস্বামী।

তিনি জানান, ১২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই বাঁধ নির্মাণের সময়সীমা ধরা হয়েছে সাড়ে তিন বছরেরও বেশি। বহুমাত্রিক এই বাঁধের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫০ কোটির বেশি টাকা, যা আরও বাড়তে পারে।

তীব্র স্রোতে উপড়ে যাওয়া ঝাউগাছের মূল। ছবি: নিউজবাংলা

প্রবীণ কুমার বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার ভাঙন রোধে পরিবেশ ও পর্যটনবান্ধব এই অত্যাধুনিক বাঁধে থাকবে আধুনিক ওয়াকওয়ে, সাইকেল বে, গাড়ি পার্কিং ও প্রদর্শনী মঞ্চ।

‘আর বাঁধের ভেতর থাকবে কিডস জোন, তথ্যকেন্দ্র, ওয়াশ রুম ও লাইফ গার্ড। পুরো প্রকল্পটি সাজানো হবে নান্দনিক সব ডিজাইনে।’

সৈকতের বালিয়াড়িতে কোনো স্থাপনা থাকবে না বলেও জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকতা।

পরিবেশ ও পর্যটনবান্ধব এই বাঁধ নির্মিত হলে পর্যটন নগরীর চেহারাই পাল্টে যাবে বলে মনে করছেন পরিবেশবাদীরা।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জিও ব্যাগ দিয়ে বালির বাঁধ স্থায়ী নয়। বর্তমানে যে আধুনিক শহর প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তা পরিবেশ এবং পর্যটন বিকাশে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।’

এ বিভাগের আরো খবর