বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অভিজিৎ হত্যার রায়ের অপেক্ষা

  •    
  • ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০৮:১২

আদালত রায় দেবে মঙ্গলবার দুপুরে। চার্জশিটের ছয় আসামির মধ্যে চার জন কারাগারে। পাঁচ দিন আগে দীপন হত্যা মামলায় তারা মৃত্যুদণ্ড পেয়েছে।

ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে খুন হয়েছিলেন বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায়। এ মাসেই রায় ঘোষণা করা হচ্ছে তাকে হত্যার ঘটনায় করা মামলার।

ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল মঙ্গলবার দুপুরে রায় ঘোষণা করবে।

মামলার আসামিদের কাশিমপুর কারাগার থেকে সকাল ৯টার আগেই কড়া পুলিশ প্রহরায় সদরঘাটে বিচারিক আদালতে আনা হবে।

গত ২১ জানুয়ারি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। অভিযোগপত্রভুক্ত ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা হয়।

গত ২৭ জানুয়ারি কারাগারে থাকা চার আসামি তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। দুই আসামি পলাতক থাকায় আত্মপক্ষে শুনানিতে অংশ নিতে পারেননি।

৪ ফেব্রুয়ারি আদালত রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করে। রায় ঘোষণা করবেন বিশেষ এ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় এ রায় ঘোষণা করা হবে বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন সন্ত্রাস দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর গোলাম ছারোয়ার খান জাকির। তিনি সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুণ্ডের রায় আশা করেন।

তিনি বলেন, ‘অভিজিৎকে হত্যায় আসামিদের সংশ্লিষ্টতার যথেষ্ট প্রমাণ আমরা আদালতে উপস্থাপন করেছি।’

অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী এম নজরুল ইসলাম, মো. জসিম উদ্দীন ও খাইরুল ইসলাম লিটন আশা প্রকাশ করেন, আসামিরা খালাস পাবেন। তাদের দাবি, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের দোষী প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী কম্পিউটার প্রকৌশলী অভিজিৎ রায় ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে ফেরার পথে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যসংলগ্ন স্থানে আততায়ীদের নৃশংস হামলায় নিহত হন। এ সময় সঙ্গে থাকা তার স্ত্রী বন্যা আহমেদও জখম হন।

এ হত্যাকাণ্ডের পর সারা দেশে অভিজিৎ রায়সহ সব হত্যার বিচারের দাবিতে হাজার হাজার ছাত্রজনতা রাস্তায় নেমে আসে। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহবাগে লাগাতার বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।

ওই ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক ড. অজয় রায় শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় তদন্ত করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম ২০১৯ সালের মার্চ মাসে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ওই বছরের ১ আগস্ট ছয় আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল।

আসামিরা হলেন সেনাবাহিনীর বরখাস্ত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ, আবু সিদ্দিক সোহেল, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান সাজ্জাদ ওরফে শামস্ ও শাফিউর রহমান ফারাবী। মেজর জিয়া এবং আকরাম হোসেন পলাতক। অপর চার আসামি কারাগারে। এরা সবাই নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য।

অভিজিতের কাঙ্ক্ষিত আড্ডার জায়গা ছিল বইমেলা। প্রবাসে থাকলেও তিনি ফেব্রুয়ারির বইমেলা এলেই দেশে ফিরে আসতেন। ভাষার মাসের পুরো সময় দেশে কাটিয়ে আবার ফিরে যেতেন বিদেশে।

প্রায় ছয় বছর পর সেই ভাষার মাসেই রায় হতে চলেছে এই মামলার।

একই আদালত গত ১০ ফেব্রুয়ারি একই আসামিদের ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুণ্ডের রায় দিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর