আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণুবিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী প্রয়াত ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ৮০তম জন্মদিন আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার।
এ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে।
সংগঠনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এতে সংগঠনের সভাপতি লায়ন মো. গণি মিয়া বাবুল সভাপতিত্ব করবেন।
বিশেষ অতিথি থাকবেন তথ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সামছুল আলম দুদু, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম শামছুন্নাহার ভূঁইয়া। এ ছাড়া দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবীরা আলোচনায় অংশ নেবেন।
বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী বিশ্ববরেণ্য এই পরমাণুবিজ্ঞানী ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার লালদিঘী ফতেহপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি নিজ গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণি ও পীরগঞ্জ থানার হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। পরে ১৯৫২ সালে রংপুর শহরের সরকারি জিলা স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৫৬ সালে এই স্কুল থেকে ডিস্টিংশনসহ ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন।
রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে তিনি ১৯৫৮ সালে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন। এরপর ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন। ১৯৬২ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি ফজলুল হক হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন এবং ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ১৯৬১-৬২ শিক্ষা বছরের জন্য হল ছাত্র সংসদের সহসভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলনে গ্রেপ্তার হন।
তিনি ১৯৬৩ সালের ১ এপ্রিল তৎকালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনের চাকরিতে যোগ দেন। ’৬৩-৬৪ শিক্ষা বছরে তিনি লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের ‘ডিপ্লোমা অব ইম্পেরিয়াল কলেজ কোর্স’ কৃতিত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করেন।
এরপর ১৯৬৭ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যের ‘ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়’ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করে দেশে ফিরে আসেন। তাকে ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে ঢাকার আণবিক শক্তি গবেষণা কেন্দ্রে পদস্থ করা হয়। একই বছরের ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি ২০০৯ সালের ৯ মে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।
সূত্র: বাসস