বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অভিজিৎ হত্যার রায় মঙ্গলবার, ধরাছোঁয়ার বাইরে মেজর জিয়া

  •    
  • ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০৯

যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী অভিজিৎ রায় ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে নিয়ে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে জঙ্গিদের হামলায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন। চাপাতির আঘাতে হাতের আঙুল হারান তার স্ত্রী।

বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার রায় মঙ্গলবার। ছয় বছর আগে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বইমেলা থেকে ফেরার পথে তাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন তুলেছিল।

ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে রায় দেবেন বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান জাকির।

নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের (আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) মোট ছয়জন অভিজিৎ হত্যা মামলার আসামি। তারা হলেন আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান সাবেক মেজর (সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত) সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়া, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আবু সিদ্দিক সোহেল (সাংগঠনিক নাম সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আরাফাত রহমান (সাংগঠনিক নাম সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শামস), শফিউর রহমান ফারাবি ও আকরাম হোসেন ওরফে আবির (সাংগঠনিক নাম আদনান ওরফে হাসিবুল ওরফে আব্দুল্লাহ)।

ছয় আসামির মধ্যে পলাতক রয়েছেন মেজর জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন; বাকিরা কারাগারে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাত ঘুরে মামলাটির তদন্তভার পায় কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ ছয়জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়। অভিযোগের পক্ষে ৩৪ জনকে সাক্ষী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।

নিউজবাংলার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে মামলার তদন্ত নিয়ে কথা বলেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিট প্রধান মনিরুল ইসলাম। তিনি জানান, আসামিদের মধ্যে ফারাবী ছাড়া বাকি সবাই নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য। ফারাবী নিজে একজন উগ্রপন্থি ব্লগার।

আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান সাবেক মেজর (সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত) সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়া। ফাইল ছবি

পলাতক দুই আসামি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা কোথায় আছেন, তা জানা নেই। তবে তাদের ধরতে আমরা চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। মেজর জিয়া আত্মগোপনে আছেন। তাকে আটকে আমরা কিছু কৌশল অবলম্বন করছি। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সাংগঠনিক অবস্থা এখন একেবারেই দুর্বল। সে যদি কখনও তার পুরাতন নেটওয়ার্কের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করে অবশ্যই ধরা পড়বে।’

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম সারোয়ার খান জাকির বলেন, ‘গত ৩ ফেব্রুয়ারি আসামিদের মৃত্যুদণ্ড চেয়ে যুক্তিতর্ক শেষ করেছি। আমরা এ মামলার উগ্রপন্থি ছয় আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছি। পরদিন আসামিপক্ষও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছিল। এরপর বিচারক রায় ঘোষণার জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি তারিখ ঠিক করেন। আমার বিশ্বাস, আসামিদের সর্বোচ্চ সাজার মধ্য দিয়ে এ রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’

যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী অভিজিৎ রায় ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে নিয়ে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে জঙ্গিদের হামলায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন। চাপাতির আঘাতে হাতের আঙুল হারান তার স্ত্রী। ঘটনার পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় ছেলে অভিজিৎ হত্যায় মামলা করেন পদার্থবিদ অধ্যাপক অজয় রায়।

ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনালে ২০১৯ সালের ১ অগাস্ট অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার ছয় আসামির বিচার কাজ শুরু হয়।

একই আদালত গত ১০ ফেব্রুয়ারি একই আসামিদের জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফীন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুণ্ডের রায় দিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর