বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চট্টগ্রাম উন্নয়নের রোল মডেল হবে: মেয়র রেজাউল

  •    
  • ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২২:৩৩

রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘প্রথমে মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করব। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শৃঙ্খলায় আনব। মানুষ শান্তি চায়। ১০০ দিনে সব রাস্তা হয়ে যাবে তা আবেগের কথা। সড়ক যান চলাচলের উপযুক্ত করার চেষ্টা করব। পাঁচ বছরে শহর জলাবদ্ধতামুক্ত হবে। আসুন চট্টগ্রামকে গড়ে তুলি।’

আগামী পাঁচ বছরের মধ্য চট্টগ্রামকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘আপনাদের ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। চট্টগ্রামের উন্নয়নে আপনাদের দোয়া চাই। সহযোগিতা চাই। পরামর্শ চাই।’

চট্টগ্রাম নগরের লালখানবাজার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে তিনি এ সব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, ‘অনেকে মনে করে, চট্টগ্রাম শুধু মেয়রের। তিনি সেই পুরানো ধারণা ভেঙে দিতে চান। এ নগরীতে অনেক জ্ঞানী, সাংবাদিক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবী, বিশেষজ্ঞ আছেন। তাদের সহায়তা নিয়ে কাজ করতে চাই।

‘আমি শুধু মুখপাত্র, প্রতিনিধি। ভোটের জন্য দুয়ারে দুয়ারে গেছি৷ পাঁচ বছরও সবার সঙ্গে পরামর্শ করে এগিয়ে যাব। আমি ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সব শ্রেণি পেশার সবার সহযোগিতা চাই। আমার পরিষ্কার কথা হচ্ছে, যে সেবা সংস্থা গাফিলতি করবে তাদের জবাবদিহি করতে হবে। অনেক সমম্বয় সভা হয়েছে, কিন্তু কার্যকর সেবা পায়নি।’

রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘প্রথমে মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করব। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শৃঙ্খলায় আনব। মানুষ শান্তি চায়। ১০০ দিনে সব রাস্তা হয়ে যাবে তা আবেগের কথা। সড়ক যান চলাচলের উপযুক্ত করার চেষ্টা করব। পাঁচ বছরে শহর জলাবদ্ধতামুক্ত হবে। আসুন চট্টগ্রামকে গড়ে তুলি।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, ‘আমাদের আর পেছনের দিকে তাকানোর প্রয়োজন নেই। অতীতে কী হয়েছে না হয়েছে, তা মনে রাখতে চাই না। এখন সামনে এগিয়ে যাবার সময়। সামনের দিকে তাকাব। ঐক্যের দিকে তাকাব। আমরা সন্ত্রাস, দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি চাই না।’

জাতীয় সংসদের হুইপ ও পটিয়ার সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনজর রয়েছে বলেই চট্টগ্রাম আজ ব্যাপক উন্নয়ন। নতুন মেয়র তার প্রচেষ্টার সবটুকু দিয়ে এই শহরকে সাজাবেন। নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করবেন, এটাই প্রত্যাশা।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘মেয়র হচ্ছেন নগর সেবক। মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সবচেয়ে কাছ থেকে কাজ করার সুযোগ পান মেয়র।

‘প্রয়াত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী সবসময় পরামর্শ চাইতে আমার কাছে আসতেন। আমি চেষ্টা করতাম তাকে সঠিক পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করতে। রেজাউল ভাইকেও সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে তার পাশে থাকব।’

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সদ্যবিদায়ী প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘করপোরেশনের আয় নিয়ে সমস্যা রয়েছে। এই শহর মাত্র ২০ শতাংশ নগরবাসী ব্যবহার করে, বাকি ৮০ শতাংশ ব্যবহার করে বন্দর, কাস্টম আর ইপিজেড।

‘এ শহরের রাস্তা ছয় টনের গাড়ি চলাচলের উপযোগী। তারা চালাবে ১০ থেকে ১৫ টনের গাড়ি। দৈনিক তাদের ৩০ হাজারের বেশি ট্রাক, কাভার্ডভ্যান রাস্তায় চলাচল করে। অথচ ট্যাক্স দিতে তারা গড়িমসি করে।’

সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুস সালাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আনোয়ারুল আজিম আরিফ, ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, চুয়েটের উপাচার্য ড. রফিকুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, আইইবি সভাপতি প্রবীর কুমার সেনসহ আরও অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর