বিএনপির সমাবেশের চেয়ে গুলিস্তানে পাগল নাচলেও বেশি মানুষ হয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘বিএনপির ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন’-এর নিন্দা ও প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে বিকেলে এ সমাবেশের আয়োজন করে।
বিএনপির উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করেছে, সেখানকার জনসমাগম দেখে সরকার নাকি ভয় পেয়েছে। ঢাকা শহর ২ কোটি মানুষের শহর। উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে ২ কোটি মানুষ বাস করে। এ ছাড়া ঢাকার আশপাশ মিলিয়ে ৩ কোটি মানুষ রয়েছে। এই ৩ কোটি মানুষের শহরে কয়েক শ মানুষের সমাবেশ যদি বিশাল সমাবেশ হয়, তাহলে বিএনপির কাছে দুনিয়াটা আসলে ছোট হয়ে গেছে। আসলে গুলিস্তানে পাগল নাচলেও তাদের সমাবেশের চেয়ে বেশি মানুষ হয়। বরং শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশ ভালো থাকায় তাদের (বিএনপি) মাথা খারাপ হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘করোনার টিকা নিয়ে নানা সময়ে নানা কথা বলেছে বিএনপি। এখন তারা সে টিকাও নিচ্ছে। আসলে করোনার টিকা এসে বিএনপির দিকে ভেংচি কেটেছে। তবে টিকা নেয়ায় আমি তাদের সাধুবাদ জানাই। বিরোধী দল সুস্থ সবল থাকুক চাই। আমাদের বিরোধিতা করুক, আমরা সুন্দরভাবে সরকার পরিচালনা করি।’
বিএনপি নেতাদের ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, ‘তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ভেতরে ভেতরে ষড়যন্ত্র করছে। বঙ্গবন্ধুকে তখনই হত্যা করেছিল, যখন খুনিরা জনবিচ্ছিন্ন হয়েছিল। আজকেও তারা সে খেলায় মেতেছে। দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আল জাজিরার রিপোর্ট ষড়যন্ত্রের অংশ। সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
‘এই রিপোর্টে আল জাজিরার বিশ্বাসযোগ্যতা লোপ পেয়েছে, তারা জনধিকৃত হয়েছে।’
দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে
দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান হাছান মাহমুদ। বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাদের বলি আমাদের সজাগ-সতর্ক থাকতে হবে।’
বিএনপির সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যাদের জন্ম ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে, তারা আবার গণতন্ত্রের কথা বলে। মির্জা ফখরুল অন্য দল করতেন। রিজভী সাহেব অন্য দল করতেন। মওদুদ আহমেদ মাশআল্লাহ, সব দল করেছেন। এভাবে যদি খতিয়ান নেয়া হয় তাহলে দেখা যাবে সব হচ্ছে দলছুট নেতা।’
তিনি বলেন, ‘ফুটবলে-ক্রিকেটে দলবদলের মৌসুম যখন শুরু হয়, তখন অনেক ক্লাব খেলোয়াড়দের অনেক টাকায় কিনে নেয়। আর রাস্তায় যখন অনেক খাবারের উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দেয়া হয়, তখন অনেক কাকের সমাবেশ ঘটে। জিয়াউর রহমান ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দিলে এই নেতারা তা গ্রহণ করার জন্য বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তারা হচ্ছেন সবাই রাজনৈতিক কাক।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বাহাউদ্দিন নাছিমসহ অনেকে।