বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের বিপক্ষে ৫ অ্যামিকাস কিউরি

  •    
  • ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২০:০০

আদালতে অভিমত দেয়া ছয় অ্যামিকাস কিউরি হলেন, আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, কামাল উল আলম, ফিদা এম কামাল, প্রবীর নিয়োগী, শাহদীন মালিক ও আব্দুল মতিন খসরু। তাদের মধ্যে পাচঁজনই রিটের গ্রহণযোগ্যতার বিপক্ষে অভিমত দিয়েছেন।

কাতারভিত্তিক টেলিভিশন আল জাজিরার সম্প্রচার বাংলাদেশে বন্ধ এবং বিতর্কিত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে হাইকোর্টে অভিমত দিয়েছেন ছয় অ্যামিকাস কিউরি।

তাদের মধ্যে পাচঁজনই রিটের গ্রহণযোগ্যতার বিপক্ষে অভিমত দিয়েছেন, পক্ষে মত দিয়েছেন একজন।

বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার বেঞ্চে সোমবার শুনানিতে তারা এ অভিমত দেন।

আদালতে অভিমত দেয়া ছয় অ্যামিকাস কিউরি হলেন, আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, কামাল উল আলম, ফিদা এম কামাল, প্রবীর নিয়োগী, শাহদীন মালিক ও আব্দুল মতিন খসরু।

এ বিষয়ে বুধবার রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য শুনবে আদালত।

সোমবার শুনানির প্রথমেই আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী রিটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘যেখানে বিটিআরসি রয়েছে, সংশ্লিষ্ট আইন রয়েছে, সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি সেখানে আবেদন করতে পারতেন। তা না করে তিনি রিট দায়ের করেছেন। এ ছাড়া আমাদের সংবিধানে ফ্রিডম অব প্রেসের কথা বলা হয়েছে। সে বিবেচনায় বাংলাদেশে চ্যানেলটি বন্ধ করা উচিত হবে না বলে আমি মনে করি।’

আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর মতো রিটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে একই প্রশ্ন তুলে আইনজীবী কামাল উল আলম বলেন, ‘রিটটি দায়েরের আগে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আইনি নোটিশ দেয়া যেত। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আইনও রয়েছে, কিন্তু রিটকারী তা করেননি।’

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এখানে জনগণের মৌলিক অধিকার লংঘন হয়েছে বলে আমার মনে হয়নি।’

আইনজীবী কামাল উল আলম বলেন, ‘আল জাজিরা একটি আন্তর্জাতিক টিভি চ্যানেল। এর সীমা বিশ্বব্যাপী, কিন্তু বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সর্বোচ্চ আদালতের তো টেরিটরি শুধু বাংলাদেশ। বাংলাদেশ চাইলেই সেই চ্যানেল বন্ধ করতে পারবে না। তবে বাংলাদেশে এর লিংকটা বন্ধ করতে পারবে।’

আইনজীবী ফিদা এম কামাল বলেন, ‘রাষ্ট্রের কাছে চ্যানেলটি বন্ধ করার ক্ষমতা আছে, কিন্তু তারা সেটা করেনি। এখন রিট আবেদনকারীকে প্রমাণ করতে হবে, রাষ্ট্রের এই অ্যাকশন বা ইনঅ্যাকশন জনগণের স্বার্থের বিপরীতে গেছে।’

আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ক্ষেত্রবিশেষে রিটটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে মত দেন। তিনি বলেন, ‘আল জাজিরা একটি আন্তর্জাতিক চ্যানেল। দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রয়েছে। সেই আইনের আশ্রয় না নিয়ে রিটকারী কেন সংক্ষুব্ধ হলেন সে প্রশ্ন উঠে এসেছে।’

শুনানিতে আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, ‘বিটিআরসি বাংলাদেশে চ্যানেলটি লিংক ব্লক করতে পারে, কিন্তু দেশের বাইরে তো আর পারবে না। সেক্ষেত্রে দেশ থেকে চ্যানেলটির লিংক বন্ধ করা হলে দেশের ফ্রিডম অব প্রেসের ইমেজ নষ্ট হবে।’

তবে রিটের গ্রহণযোগ্যতার পক্ষে মত দেন আব্দুল মতিন খসরু। তিনি বলেন, ‘রিটকারীর সংক্ষুব্ধ হওয়ার যৌক্তিকতা আছে। কারণ সবারই আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার আছে। সংবিধানে তাকে এই অধিকার দিয়েছে।’

বাংলাদেশে আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রিট করেন আইনজীবী এনামুল কবির ইমন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত ১০ ফেব্রুয়ারি আদালত মতামত নিতে ছয় অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেয়।

শুনানির সময় রিটকারী আইনজীবী এনামুল কবির ইমন, বিটিআরসির পক্ষে আইনজীবী রেজা ই রাকিব, রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

কাতারভিত্তিক টেলিভিশন আল জাজিরায় গত ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ নিয়ে বিতর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হয়।

এ বিভাগের আরো খবর