বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এখন সময় জনগণের জন্য কাজের হিসাব করার: রাষ্ট্রপতি

  •    
  • ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৯:৩১

‘এখন সময় এসেছে আমরা তাদের জন্য কতটুকু করেছি বা করছি তা হিসাব করার। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ আমরা বলি আমরা কী পেলাম।’

জনগণের জন্য রাজনীতিকসহ সবার কাজের হিসাব করার সময় এসেছে বলে মনে করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

আর তাই পেশাদারত্ব বজায় রেখে জনগণের প্রয়োজনে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে বিমানবাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দ্বারে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রপতি আরও বলেছেন, স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়াটা হোক সবার চাওয়া-পাওয়া।

বঙ্গভবন থেকে সোমবার দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বরিশাল র‍্যাডার ইউনিট ও হেলিকপ্টার সিমুলেটর ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের উদ্বোধনী আয়োজনে যোগ দিয়ে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি এ সময় মুক্তিযুদ্ধে বিমান সেনাদের অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করেন।

‘বাংলাদেশ এখন দৃপ্ত পায়ে উন্নতি ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনীও গুণে-মানে ও আকারে ক্রমশ সম্প্রসারিত হচ্ছে।’

বিমানবাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মনে রাখবেন, আপনারা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য হলেও এ দেশেরই সন্তান। দেশের জনগণেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই আপনারাও দেশের মানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার সমান অংশীদার। তাই পেশাদারত্বের নিপুণতা বজায় রাখার পাশাপাশি জনগণের প্রয়োজনে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামসহ দেশের যে কোনো প্রয়োজনে নিজেদের বিলিয়ে দিয়েছেন দেশের মানুষ।

‘এখন সময় এসেছে আমরা তাদের জন্য কতটুকু করেছি বা করছি তা হিসাব করার। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ আমরা বলি আমরা কী পেলাম।’

নিজেকে ‘বঙ্গবন্ধুর একজন কর্মী’ দাবি করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সব সময়ই দেখেছি তিনি (বঙ্গবন্ধু) নিজে যা বিশ্বাস করতেন তাই বলতেন। নিজের বা পরিবারের কথা না ভেবে দেশ ও জনগণের কল্যাণই ছিল তার সব চিন্তা-চেতনায়।’

তিনি বলেন, ‘এ বছর আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করছি। আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব। বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনা ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমেই স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এটাই হোক সবার চাওয়া-পাওয়া।’

র‌্যাডার ইউনিট ও হেলিকপ্টার সিমুলেটর ট্রেনিং ইন্সটিটিউট

বাংলাদেশের ভূ-কৌশলগত অবস্থান, সমুদ্রসীমায় অর্থনৈতিক কাজের নিরাপত্তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ তৎপরতা দ্রুত আরও সহজ করা এবং ওই অঞ্চলের আকাশসীমা পর্যবেক্ষণে সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বরিশালে স্থাপন করা হয়েছে র‌্যাডার ইউনিট।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি আশা করি, নতুন অন্তর্ভুক্ত র‌্যাডার বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্রাঞ্চল তথা সমগ্র মহীসোপান এলাকায় টহলরত বিমানসমূহকে সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করতে এবং তাদের চলাচল ও নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালনে সক্ষম হবে।’

উন্নত দেশে বৈমানিকদের উড্ডয়নের আগে সিমুলেটর ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে এতদিন ছিল না কোনো সিমুলেটর ট্রেনিং ইন্সটিটিউট। ফলে হেলিকপ্টারের উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ বাস্তব উড্ডয়নের মাধ্যমে করা হতো, যা ছিল ব্যয়বহুল এবং সময়সাপেক্ষ।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘নবনির্মিত হেলিকপ্টার সিমুলেটর ট্রেনিং ইন্সটিটিউট আমাদের বৈমানিকগণের উড্ডয়নের একটি অংশ সিমুলেটরের মাধ্যমে সম্পন্ন করবে। ফলে প্রশিক্ষণ ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে।

‘এছাড়া সিমুলেটর ফ্লাইং একটি অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা হওয়ায় এর উপর আবহাওয়ার কোনো প্রভাব পড়ে না। ফলে বছরের যে কোনো সময়, যে কোনো আবহাওয়ায় প্রশিক্ষণ প্রদান করা সম্ভব।’

এই ইন্সটিটিউট অন্যান্য বাহিনীর হেলিকপ্টার বৈমানিকদের প্রশিক্ষণেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।

এই ইন্সটিটিউটকে বিমানবাহিনীর উন্নয়নে একটি সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, ‘যা ফোর্সেস গোল-২০৩০ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর