চতুর্থ দফায় নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে গেছে আরও ২ হাজার ১০ জন রোহিঙ্গা।
চট্টগ্রাম থেকে জাহাজে করে সোমবার বেলা পৌনে ২টার দিকে রোহিঙ্গারা ভাসানচরে পৌঁছায়।
ওই রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৪৮৫ জন নারী, ৫৭৭ জন পুরুষ ও ৯৪৮টি শিশু রয়েছে।
নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় নৌবাহিনীর রেডি রেসপন্স বার্থ থেকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে পাঁচটি জাহাজ ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
মঙ্গলবার আরও ২ হাজার রোহিঙ্গার ভাসানচরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
সড়কপথে কক্সবাজারের উখিয়া শিবির থেকে রোববার চট্টগ্রামে পৌঁছায় রোহিঙ্গারা। রাতে তাদের বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠের অস্থায়ী ক্যাম্পে রাখা হয়।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহে আলম জানান, রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামিয়ে প্রাথমিক মেডিক্যাল পরীক্ষা শেষে গাড়িতে করে ওয়্যারহাউসে জড়ো করে ব্রিফ করা হয়। পরে ভাসানচরের ক্লাস্টারে স্থানান্তর করা হয়।
গত বছরের ৪ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে ভাসানচরে নেয়া হয় ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে। তাদের ৭, ৮, ৯ ও ১০ নম্বর ক্লাস্টারে রাখা হয়।
গত ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় কক্সবাজার থেকে আরও ১ হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে পৌঁছায়। তাদের মধ্যে ১৩০ জনের বেশি রয়েছে প্রথম দফায় যাওয়া রোহিঙ্গাদের স্বজন।
তৃতীয় দফায় ২৯ জানুয়ারি ভাসানচরে যায় ১ হাজার ৭৭৬ জন রোহিঙ্গা। ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফার দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ১ হাজার ৪৬৭ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে পৌঁছায়।
এর আগে ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল হাতিয়ায় মেঘনা নদীর বুকে জেগে ওঠা ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ শেষ হয়।
ওই বছর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হওয়ার কথা থাকলেও আগেই শেষ হয় সকল অবকাঠামো নির্মাণ। হাতিয়া থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে ১৩ হাজার বর্গকিলোমিটার দ্বীপের এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১২০টি গুচ্ছগ্রাম রয়েছে। এতে ১ লাখ রোহিঙ্গা বাস করতে পারবে।