বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিএমএইচ ও পুলিশ হাসপাতাল একই সমান্তরালে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  •    
  • ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৪:১২

করোনা প্রতিরোধে পুলিশের ভূমিকা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘এরপর পুলিশ হাসপাতালের সেবার মান করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের জন্য এমন একটি জায়গায় এলো, সবাই বলা শুরু করল যে সিএমএইচ ও পুলিশ হাসপাতাল একই সমান্তরাল লাইনে চলছে। কে প্রথম আর কে দ্বিতীয় তা বলা যায়নি।’

পুলিশ হাসপাতাল ও সশস্ত্র বাহিনীর চিকিৎসালয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল বা সিএমএইচকে একই রকম বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

তিনি বলেন, ‘পুলিশ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও পুলিশ সদস্যদের তদারকির মাধ্যমে এই রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল আজ অত্যাধুনিক একটি হাসপাতালে পরিণত হয়েছে এবং এই সেবা যারা নিয়েছে, তারা সবাই মনে রাখবে। করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার কার্যক্রমেও পুলিশ হাসপাতাল পিছিয়ে নেই।'

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে করোনার টিকা নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

করোনা প্রতিরোধে পুলিশের ভূমিকা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘এরপর পুলিশ হাসপাতালের সেবার মান করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের জন্য এমন একটি জায়গায় এলো, সবাই বলা শুরু করল যে সিএমএইচ ও পুলিশ হাসপাতাল একই সমান্তরাল লাইনে চলছে। কে প্রথম আর কে দ্বিতীয় তা বলা যায়নি।’

গত বছরের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর পুলিশের ভূমিকা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘তখন আমরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গিয়েছিলাম। তখন আমরা জানতাম না যে কীভাবে এটা নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। তখন পুলিশের মধ্যে একটা আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছিল। সে সময় পুলিশ সদস্যরা একের পর এক আক্রান্ত হতে থাকেন।

‘পুলিশ সদস্যরা ফ্রন্টলাইনার হিসেবে কাজ করেছেন। পুলিশ নিজেরা আক্রান্ত হলেও দাফনের কাজেও পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে এসেছেন। অনেক ডাক্তারও প্রথম প্রথম আতঙ্কিত হয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ সদস্যরা আতঙ্কিত হন নাই। আপনারা দেখেছেন যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মারা গেছেন, তাদের আত্মীয়রা পর্যন্ত তাদের মরদেহ দাফন করতে যায়নি।

‘পুলিশ সেই কাজটিও করেছে। এর পরে অবশ্য অনেকেই এগিয়ে এসেছেন। তবে আলোর দিশারী ছিলেন পুলিশ সদস্যরাই। আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে নেয়া, লকডাউনে পুলিশের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পর পর্যায়ক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন ও পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ করোনার টিকা নেন। টিকা নেয়ার পর তাদের তিন জনকেই ৩০ মিনিট পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। তবে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি।

মন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ প্রতিকূলতা থেকে আজ আমরা এমন একটা জায়গাতে এসেছি যে, আমাদের দেশে কোভিড সংক্রমণের রেট কমে গেছে। এগুলো সব সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও সময় উপযোগী সিদ্ধান্তের কারণেই। বর্তমানে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণের তালিকায় ১৭তম স্থানে বাংলাদেশ।’

আইজিপি বেনজীর আহমেদের সঠিক সিদ্ধান্তে পুলিশ সদস্যদের সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হয়েছে বলে উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন কেউ যেন এই টিকা দেয়া থেকে বাদ না পড়েন। পুলিশ বাহিনীর সকল সদস্যই যেন টিকা নেন। শুধু রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালই নয়, দেশের সকল পুলিশ হাসপাতাল ও অন্যান্য হাসপাতালে তারা (পুলিশ সদস্যরা) টিকা নিচ্ছেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘করোনার টিকা বাংলাদেশে আসবে কি আসবে না অনেকেই বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়িয়েছিলেন। কোনো বিভ্রান্তি ছড়িয়ে কাজ হয়নি। সময়মতো বাংলাদেশে টিকা এসেছে এবং তা জনগণকে দেয়া হচ্ছে।

‘অনেক দেশ এখন পর্যন্ত করোনা প্রতিরোধী টিকা পায়নি। সারা দেশে করোনা প্রতিরোধী টিকা দেয়ার কাজ চলছে। টিকা নিয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হওয়ার কিছু নেই। নির্ভয়ে সবাই টিকা নিতে পারেন। টিকা নিয়ে দেশকে করোনামুক্ত করুন।’

রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে করোনা প্রতিরোধী টিকা দেয়ার জন্য ১৮টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এতে প্রতিদিন ৩ হাজার মানুষকে টিকা দেয়া হচ্ছে। পুলিশ সদস্য ছাড়াও সাধারণ জনগণও রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে এখানে এসে টিকা নিতে পারছেন।

এ বিভাগের আরো খবর