কুয়েতে গ্রেপ্তার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাংসদ কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামের জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
জামিন বাতিল চেয়ে দুদকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘আদালত আমাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।’
গত সপ্তাহে এমপি পাপুলের স্ত্রী ও মেয়ের জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক।
গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি পাপুলের বিরুদ্ধে মানব পাচারসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত উপায়ে শ শ কোটি টাকা অর্জন করে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
পরে ওই বছরের ১১ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে পাপুল ও তার স্ত্রী সংরক্ষিত আসনের এমপি সেলিনাসহ ৪ জনের নামে মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন পাপুল, তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও সেলিনার বোন জেসমিন প্রধান।
এ মামলায় আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করার পর হাইকোর্ট তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। সে অনুসারে আত্মসমর্পণের পর তাদের গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর জামিন দেন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।
ওই জামিনাদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত সোমবার রুল জারি করে।
অর্থ ও মানব পাচারের অভিযোগে দণ্ডিত হয়ে কুয়েতের কারাগারে আছেন স্বতন্ত্র সাংসদ পাপুল।