বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কৃষক হত্যায় ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন

  •    
  • ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১২:২২

২০১৬ সালের ২২ জানুয়ারি পিটিয়ে হত্যা করা হয় কৃষক ছিদ্দিক মিয়াকে। ৫ বছর পর এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হলো। মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে এক আসামিকে। আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেয়েছেন ওই আসামির মা-বাবা-ভাইসহ পাঁচ জন।

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে কৃষক ছিদ্দিক হত্যা মামলায় এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম সোমবার সকালে এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি হলেন জুয়েল মিয়া। তার বাড়ি বাজিতপুরের হিলচিয়া ইউনিয়নের বরমাইপাড়া গ্রামে। আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে জুয়েলের বাবা জজ মিয়া, মা রহিমা খাতুন, ছোট ভাই কাঁকন মিয়া এবং ওই গ্রামের সাইফুল ইসলাম ও মাহবুব হাসান রঞ্জুকে।

এদের মধ্যে সাইফুল ও কাঁকন পলাতক। রায় ঘোষণার সময় এই দুজন ছাড়া বাকিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে বাজিতপুরের বরমাইপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলাচলের রাস্তা নিয়ে বাদী এবং আসামিপক্ষের মধ্যে বিরোধ ছিল। ২০১৬ সালের ২২ জানুয়ারি দুপুরে আসামিরা রাস্তার ওপর বাথরুম নির্মাণ করতে থাকেন। এ সময় বাদী মনিরুজ্জামানসহ অন্যান্যরা বাধা দিলে আসামিরা বাদীকে গালাগাল করেন এবং মারধর করার চেষ্টা করেন।

এ সময় বাদীর ভাই ছিদ্দিক মিয়া প্রতিবাদ করলে আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। তারা তাকে শাবল, লোহার পাইপ, রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ছিদ্দিক মিয়াকে উদ্ধার করে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলেন।

পরে অ্যাম্বুলেন্স করে ঢাকায় নেয়ার পথে নরসিংদী এলাকায় পৌছালে তিনি মারা যান। পরদিন ২৩ জানুয়ারি ছিদ্দিকের ভাই মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে বাজিতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

পরে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। সিআইডির উপপরিদর্শক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ৩০ জুন অভিযোগপত্র জমা দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আবু সাঈদ ইমাম বলেন, ‘এই রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্ট। তারা ন্যায়বিচার পেয়েছে।’

অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবি অশোক সরকার বলেন, ‘এই মামলায় আসামিরা ন্যায়বিচার পায়নি। আইনের বিধানমতে আসামিরা খালাস পাওয়ার যোগ্য। আসামিরা খুবই দরিদ্র তবে তারা যদি হাইকোর্টে আপিল করতে পারে আমার ধারণা ন্যায়বিচার পাবেন।’

এ বিভাগের আরো খবর