গাঁজাভর্তি ট্রাক আটকের চেষ্টায় র্যাব সদস্যের গায়ের ওপর দিয়ে ট্রাক চালিয়ে নিলেন চালক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে তার।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ময়মনসিংহের ভালুকার সিড স্টোর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ওই ট্রাকচালক ও তার সহকারীকে আটক করতে পারেনি।
নিহত র্যাব সদস্যের নাম ইদ্রিস মোল্লা। তার বাড়ি মানিকগঞ্জের কেল্লাই গ্রামে।
পুলিশ জানায়, গাজীপুরের টঙ্গী থেকে শ্রীপুরের মাওনায় গাঁজার একটি চালান যাচ্ছে, এমন খবর ছিল তাদের কাছে। গাজীপুরের পোড়াবাড়ী র্যাব-১-এর ক্যাম্পের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে গাঁজা বহনকারী ট্রাক থামাতে সংকেত দেয়া হয়।
ট্রাকটি না থামিয়ে চালক দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। মোটরসাইকেলে করে কনস্টেবল ইদ্রিস মোল্লা ও সিনিয়র ডিএডি গোলাম মোস্তফা ধাওয়া করেন।
বাঘের বাজার পর্যন্ত পৌঁছানোর পর ট্রাক থেকে একটি গাঁজাভর্তি বস্তা ফেলে দেয়া হয়। সিনিয়র ডিএডি বস্তাটি উদ্ধার করার জন্য মোটরসাইকেল থেকে নেমে যান। কনস্টেবল ইদ্রিস আলী তখনও ট্রাকটিকে ধাওয়া করতে থাকেন।
ভালুকা সিডস্টোর এলাকার কোকা-কোলা কোম্পানির সামনে ট্রাকটিকে অতিক্রম করে সড়কে ব্যারিকেড দেন ইদ্রিস মোল্লা। ট্রাকচালক তখন বাইকটিকে ধাক্কা দিলে ইদ্রিস মোল্লা ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
ভরাডোবা হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ তৈমুর আলী জানান, পুলিশ ট্রাকটি জব্দ করলেও চালক ও তার সহকারী পালিয়ে গেছেন।
র্যাব-১-এর কর্নেল মুনির হাসান জানান, ভালুকা মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে। চালক ও তার সহকারীকে আটকের চেষ্টা চলছে।
র্যাবের পক্ষ থেকে ইদ্রিস মোল্লার স্ত্রীকে তাৎক্ষণিকভাবে ১ লাখ টাকা ও বাবাকে ৫০ হাজার টাকা দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আইজিপির শোক
র্যাব সদস্য ইদ্রিসের এমন মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ।
এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে কনস্টেবল ইদ্রিস মোল্লা কর্তব্যনিষ্ঠা ও পেশাদারত্বের যে অনুপম আদর্শ স্থাপন করে গেছেন, তা সত্যিই বিরল। তার কর্তব্যবোধ সকলের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
এর আগেও বিভিন্ন অভিযান চলাকালে র্যাবের ২৭ সদস্য মারা যান এবং অভিযান চলাকালে ২২ সদস্য গুলিবিদ্ধ হন।