স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আবদুল মালেক ওরফে বাদলের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে করা মামলার অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে, যার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ আরও অভিযোগ রয়েছে।
রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ মামলার অভিযোগপত্রটি আমলে নিয়ে গ্রহণযোগ্যতার শুনানির জন্য এই তারিখ রাখেন।
গত ১১ জানুয়ারি আদালতে মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপপরিদর্শক মেহেদী হাসান চৌধুরী। এতে সাক্ষী করা হয়েছে ১৩ জনকে।
অবৈধ অস্ত্র, জাল টাকার ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মালেককে গত ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ টাকার জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও দুটি স্মার্টফোন উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক মালেকের তুরাগে দুটি সাত তলা বাড়ি ও একটি ডেইরি ফার্ম আছে। একই এলাকায় তার ১২ কাঠা জমির একটি প্লট রয়েছে। এসব ছাড়াও রাজধানীর হাতিরপুলে তার ১০ তলা একটি ভবনের নির্মাণকাজ চলছে। এসব ছাড়াও রাজধানীতে তার অন্তত ১৫টি ফ্ল্যাট রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকে আছে বিপুল পরিমাণ অর্থ।
র্যাবের অভিযোগ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রশাসনকে জিম্মি করে চিকিৎসকদের নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতিসহ অনেক অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন মালেক। তার তদবির ছাড়া সম্ভব ছিল না অনেক কিছু। এসব থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে অল্প সময়ে শতকোটি টাকার সম্পদের মালিক হন মালেক ড্রাইভার।