বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে সিন্ডিকেট নির্মূলের দাবি

  •    
  • ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৮:৩৭

পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে পুনরায় শ্রমবাজার উন্মুক্তের জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি দুই দেশের মধ্যে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা। তার আগেই ওই সিন্ডিকেট মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে ফরেন ওয়ার্কার্স সেন্ট্রালাইজড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমকে- এফডব্লিউসিএমএস একটি সিন্ডিকেট উল্লেখ করে তা বাতিল করার দাবি জানিয়েছে ‘বায়রা সিন্ডিকেট নির্মূল ঐক্যজোট’ নামের একটি সংগঠন।

তাদের দাবি, এফডব্লিউসিএমএস একটি মেয়াদোত্তীর্ণ, বাতিল, বিতর্কিত, দেশি ও আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত এবং দুর্নীতিতে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান। সেই সঙ্গে সিন্ডিকেট হিসেবে কাজ করায় মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে তাদের নির্মূলের ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।রোববার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে পুনরায় শ্রমবাজার উন্মুক্তের জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি দুই দেশের মধ্যে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা। তার আগেই ওই সিন্ডিকেট মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।

প্রথমে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দাবি সংবিলত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সদস্যসচিব টিপু সুলতান।

সংগঠনের আহ্বায়ক আলী হায়দার চৌধুরী দাবি করেন, দেশে মোট ১ হাজার ৮০০ লাইসেন্সধারী রিক্রুটিং এজেন্সি আছে। এর মধ্যে প্রায় ১ হাজার ২০০ প্রতিষ্ঠান তাদের লাইসেন্স নবায়ন করে হালনাগাদ করেছে।

তবু একটি চক্র এই এজেন্সিদের বাদ দিয়ে মাত্র ২৫টি প্রতিষ্ঠানকে নতুন লাইসেন্স দিয়ে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। এই চক্রের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় নতুন লোক নিয়োগের পাঁয়তারা চলছে। এটি বাজার নষ্ট করার অশুভ প্রক্রিয়া বলে দাবি করেন তিনি।

তিনি বলেন, এই চক্রান্ত সফল হলে দেশের ৯৯ ভাগ রিক্রুটিং এজেন্সি বঞ্চিত হবে ও বাজার আগের মতো অস্থিতিশীল হবে। যা সরকারের প্রতিশ্রুতি ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির সম্পূর্ণ বিপরীত।

বিতর্কিত এফডব্লিউসিএমএস সিস্টেম দুই সরকারের মন্ত্রী পর্যায়ের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ বৈঠকের এজেন্ডায় রাখা হয়েছে দাবি করে আলি হায়দার বলেন, এফডব্লিউসিএমএস একটি মেয়াদোত্তীর্ণ, বাতিল, বিতর্কিত, দেশি ও আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত এবং দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সিস্টেম। যার হোতা আগের সিন্ডিকেটের মাস্টারমাইন্ড ও মাহাথির সরকারের কালো তালিকাভুক্ত এসপিপিএ ও বেস্টিনেটের মালিক দাতো শ্রী আমিন।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, এই এফডব্লিউসিএমএস-কে ব্যবহার করে দাতো শ্রী আমিন বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন, যা দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচার হয়েছে। শূন্য খরচের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে দাতো শ্রী আমিনের বেস্টিনেট কোম্পানির এফডব্লিউসিএমএস আর এসপিপিএর ফাঁদে পড়ে আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকা খুইয়ে বিদেশ পাড়ি দিতে হয়েছিল অসহায় শ্রমিকদের। তাই তার সেই সিস্টেমকে কোনোভাবেই আর বিশ্বাস করা যায় না।

স্বল্প ব্যয়ে কর্মী পাঠানো মন্ত্রণালয়ের শুধুই আশ্বাস কি না, এমন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, সরকারের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল স্বল্প খরচে কর্মী পাঠানো। এ ক্ষেত্রে নতুন করে অভিবাসন ব্যয় কত বা কীভাবে স্বল্প খরচ হবে তা স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। কর্মীর অভিবসান খরচ কীভাবে নেয়া হবে, কী মডিউলে নেয়া হবে তারও কোনো সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা নেই বলে জানান তিনি।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, অভিবাসন ব্যয় কমানো ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতে অভিবাসন বিশ্লেষকদের সময়োপযোগী প্রস্তাবিত রিক্রুটিং এজেন্সি, ব্যাংক ও কর্মীদের মধ্যকার আর্থিক লেনদেনের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি ব্যবস্থার বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট রূপরেখা নির্ণয় করা হয়নি। মন্ত্রণালয় এতোদিন সময় পেলেও অভিবাসন ব্যয় ও পেমেন্ট সিস্টেম নিয়ে কার্যকর কোনো প্রস্তাব দেয়নি।

জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ বৈঠকের এজেন্ডায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো রাখা হয়নি এমন অভিযোগ করে সংগঠনের আহ্বায়ক আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, মন্ত্রণালয় আনুমানিক কতজন কর্মী পাঠাবে? অভিবাসন ব্যয় কীভাবে নিয়ন্ত্রণ হবে? কোন কোন সেক্টর পাঠাবে, কতো সময়ের মধ্যে পাঠাবে? ন্যূনতম বেতন ও সুবিধা কী হবে? এ-সংক্রান্ত কোনো বিষয় বৈঠকের এজেন্ডায় আসেনি। অথচ এটাই অন্যতম প্রধান আলোচ্য বিষয় হওয়া উচিত।

এ বিভাগের আরো খবর