বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালের সংযোগে জোর সংলাপে

  •    
  • ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১০:১২

স্থপতি ইকবাল হাবিব পানি নিষ্কাশনের কাজে সিটি করপোরেশনের আর্থিক ও কারিগরি দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি খালগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সংযোগ স্থাপনের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, এই নেটওয়ার্ক তৈরি করা না গেলে কোনো কার্যক্রমেই ফল আসবে না।

রাজধানীতে পানি নিষ্কাশনের কাজে সিটি করপোরেশনের আর্থিক ও কারিগরি দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি খালগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সংযোগ স্থাপনের ওপর জোর দিয়েছেন নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতি ইকবাল হাবিব।

তিনি বলেছেন, এই নেটওয়ার্ক তৈরি করা না গেলে কোনো কার্যক্রমেই ফল আসবে না।

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে শনিবার ‘ঢাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা ও খাল আধুনিকায়ন’ নিয়ে নগর সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

সংলাপে ঢাকার জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান ও খাল ব্যবস্থাপনায় স্থানীয়দের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের আহ্বান জানান সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে রাজধানীতে নতুন জলাধার তৈরি এবং বিদ্যমান খালগুলোর পানি ধারণক্ষমতা বাড়িয়ে এগুলোকে একটি নেটওয়ার্কের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

ইউএনডিপির অর্থায়নে সংলাপটি আয়োজন করে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম নামের একটি সংগঠন।

সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আকতার মাহমুদ।

তিনি বলেন, ঢাকার ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক)। কিন্তু সংস্থাটির ব্যর্থতায় দ্রুত উন্নয়নের নামে শহরের গুরুত্বপূর্ণ জলাধার নদী, খাল, নালা ও নিম্ন ভূমিগুলো বেদখল হয়ে গেল, উধাও হয়ে গেল। আবার শহরের জন্য একটা ড্রেনেজ মহাপরিকল্পনা থাকলেও অনেক বছর ধরে এর প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

পানি বিশেষজ্ঞ ম. ইনামুল হক বিদ্যমান জলাবদ্ধতার সমস্যার জন্য নগরের বেহাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকেও দায়ী করেন। একই সঙ্গে তিনি পানি নিষ্কাশনের কাজে পানি উন্নয়ন বোর্ডকেও সম্পৃক্ত করার পরামর্শ দেন।

স্থপতি ইকবাল হাবিব পানি নিষ্কাশনের কাজে সিটি করপোরেশনের আর্থিক ও কারিগরি দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি খালগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সংযোগ স্থাপনের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, এই নেটওয়ার্ক তৈরি করা না গেলে কোনো কার্যক্রমেই ফল আসবে না।

খাল ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন উন্নয়নকাজে নাগরিকদের সম্পৃক্ত করার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘জনসচেতনতায় বিনিয়োগের বিকল্প নেই। আমার খাল, আমার শহর আমি পরিষ্কার রাখব, এই ভাবনা যদি নাগরিকদের মনে প্রবেশ করা না যায়, এই শহরটাকে যদি তারা ওউন (নিজের মনে) না করে, তাহলে একটা পরিচ্ছন্ন, সুন্দর ও বাসযোগ্য নগর গড়ে তোলা সম্ভব না।’

ইকবাল হাবিবের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেন পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান। তিনি খালগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন ও সার্বিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও দক্ষতার উন্নয়নের দিকে মনোযোগ দেয়ার কথা বলেন।

সংলাপের প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নের মধ্যে যে পার্থক্য তার একটা উদাহরণ তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, পূর্বাচল নতুন শহরটি হয়তো তৈরি করা হচ্ছিল ১০ লাখ মানুষের জন্য। কিন্তু এখন যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে, যেভাবে সেখানে বাড়িঘর হচ্ছে, তাতে হয়তো সেখানে ভবিষ্যতে ৫০ লাখ মানুষ বাস করবে। তখন তো কোনো ব্যবস্থাপনাই কাজে আসবে না।

এভাবেই গোটা ঢাকা শহর বিদ্যমান অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। খাল দখলকারীদের মধ্যে অনেক সরকারি সংস্থাও আছে। এখন বিদ্যমান অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য কালেকটিভ ইফোর্টের (সম্মিলিত প্রচেষ্টা) কোনো বিকল্প নেই।’

নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মতিন আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে সংলাপটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সোহেল মামুন।

তারা বলেছেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সুশাসন ছাড়া ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব নয়। এ ছাড়া শহরের ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যানের প্রস্তাবগুলোও দ্রুত বাস্তবায়ন করা দরকার।

এ বিভাগের আরো খবর