বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিক্ষকের অনুদানে পাঁচ আইসিইউ পাচ্ছে গণস্বাস্থ্য

  •    
  • ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২৩:০৭

অধ্যাপক নাসরীন বেগমের বড় মেয়ে জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করা অবস্থায় গত বছরের মে মাসে করোনাআক্রান্ত হয়ে মারা যান। মেয়ের মৃত্যুর পর চিকিৎসার অপ্রতুলতা থেকে অধ্যাপক নাসরীন বেগম এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান।

সাভারের গণস্বাস্থ্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে পাঁচ শয্যার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) স্থাপনের জন্য ৫০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন ঢাকা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক নাসরীন বেগম।

শনিবার ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেজর হায়দার মিলনায়তনে অনুদানের চেক কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কাছে হস্তান্তর করেন তিনি

সাধারণ মানুষের সেবায় এগিয়ে আসায় অধ্যাপক নাসরীন বেগম ও তার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান জাফরুল্লাহ চৌধুরী। একই সঙ্গে দেশের বিত্তশালীদের চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক নাসরীন বেগমের বড় মেয়ে জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করা অবস্থায় গত বছরের মে মাসে করোনাআক্রান্ত হয়ে মারা যান। মেয়ের মৃত্যুর পর চিকিৎসার অপ্রতুলতা থেকে অধ্যাপক নাসরীন বেগম এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান।

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কার্যক্রমে অনুপ্রাণিত হয়ে চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়নে কিছু করার আগ্রহ প্রকাশ করেন নাসরীন বেগম। তখন ডায়ালাইসিস করার জন্য সাভারে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে কোনো আইসিইউ না থাকার কথা নাসরীন বেগমকে জানানো হয়। তখন তিনি হাসপাতালটিতে অনুদান দিতে সম্মত হন তিনি।

চেক হস্তান্তর আয়োজনে নাসরীন বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ের মৃত্যু আমাকে নতুনভাবে ভাবিয়েছে। চিকিৎসা সেবায় কিছু করতে চেয়েছিলাম। জাফরুল্লাহ ভাইয়ের কার্যক্রম আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আমি তার চিকিৎসা কার্যক্রমে পাশে থাকতে চাই।’

সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত হতে যাওয়া আইসিইউ ইউনিটটির নামকরণ করা হবে ‘সাবরীনা কামাল আইসিইউ’। অধ্যাপক নাসরীন বেগমের বড় মেয়ে যিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তার নামেই নাম দেয়া হবে।

হাজী মুহম্মদ মুহসীনের দানশীলতার কথা উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, ‘আজকের দিনটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিন। হাজী মুহম্মদ মুহসীন যেমন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দান করে গেছেন, অধ্যাপক নাসরীন বেগমও অনুদানের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তার কর্তব্য পালন করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দেশে ভালো চিকিৎসা পাই না। আমাদেরকে একে অপরের পাশে দাঁড়াতে হবে। মেয়ে হারানোর দুঃখের মাঝেও অধ্যাপক নাসরীনের পরিবার মানসেবায় এগিয়ে এসেছে। আমি চাই দেশের বিত্তশালীরাও এভাবে মানবসেবায় এগিয়ে আসুক। তাহলে আর দেশের মানুষকে চিকিৎসা বঞ্চিত হতে হবে না।’

অনুষ্ঠানে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. মনজুর কাদির আহমেদ, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ মহিবুল্লাহ খোন্দকার ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গণমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুসহ চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর