প্রিয় সন্তান আসবে পৃথিবীতে। সাজাচ্ছিলেন ঘর। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনা কেড়ে নিল বাবার প্রাণ।
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান শান্ত, যিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উপ পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক।
শনিবার রাজধানীর কেরানীগঞ্জে মাইক্রোবাসের সঙ্গে শান্তর মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর একই বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী তাসফিজা সিনথীকে বিয়ে করেছিলেন শান্ত। প্রথম বিয়েবার্ষিকী উদযাপনের আনন্দ বাড়িয়ে দেয় তাদের ঔরসের সন্তান। কিন্তু সেই সন্তান কখনও বাবাকে দেখবে না।
শান্ত থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ হলে। ফলিত পরিসংখ্যান বিভাগে তিনি ২০১৪-১৫ সেশনে ভর্তি হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এশার নামাজ শেষে তারা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তাকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
শান্তর মৃত্যুর ঘটনায় শোক জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। শনিবার রাতে সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নিহতের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করা হয়।