বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২১

  •    
  • ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৮:৪৩

ধুনট উপজেলায় স্থানীয় সাংসদ হাবিবুর রহমান ও উপজেলায় আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুন্নবী তারিকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। এর জেরেই শনিবার এই সংঘর্ষ হয়।

বগুড়ার ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশের ৪ সদস্যসহ অন্তত ২১ জন আহত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে উপজেলার বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।

পরে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এক পক্ষের আহতরা হলেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শেখ ম‌তিউর রহমান, সাংগঠ‌নিক সম্পাদক সুজাউ‌দৌলা রিপন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপ‌তি জাকা‌রিয়া খন্দকার, বঙ্গবন্ধু সৈ‌নিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ হারুন বাবু, চিকাশী ইউ‌নিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল উ‌দ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাজেদুল ইসলাম সাগর, যুবলীগ কর্মী সুজন ও বলয় মণ্ডল এবং ছাত্রলীগের কর্মী রাজু সুলতান, রুবেল বাবু, আরিফ, না‌সিম, হৃদয় ও আকাশ।

অপর পক্ষের আহতরা হলেন ধুনট পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপ‌তি সুজন সাহা, আহ্বায়ক পৌর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস ছাত্তার ও যুব শ্র‌মিক লীগের সাংগঠ‌নিক সম্পাদক শাহীনুর আলম মিঠু।

তারা স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ধুনট উপজেলায় স্থানীয় সাংসদ হাবিবুর রহমান ও উপজেলায় আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুন্নবী তারিকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। এর জেরেই শনিবার এই সংঘর্ষ হয়।

তারা আরও বলেন, গত ৩১ জানুয়ারি ধুনট পৌরসভা নির্বাচন হয়। নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকার প্রার্থী ছিলেন নুরুন্নবী তারিক। তবে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এজিএম বাদশাহ। তিনি স্থানীয় সাংসদ হাবিবুর রহমানের অনুসারী। পৌর নির্বাচনে তাকে স্থানীয় সাংসদের ছেলে ও তাদের অনুসারীরা প্রকাশ্যে সমর্থন দেন।

এর জেরেই মূল শনিবার আসিফ ইকবাল সনি ও নুরুন্নবী তারিকের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

হামলায় আহত এক কর্মী

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, শনিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজাউদ্দৌলা রিপনকে কথা-কাটাকাটির জেরে মারধর করা হয়। রিপন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তারিকের অনুসারী। রিপনকে সাংসদের অনুসারীরা মারধর করেন। এ নিয়ে উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

দুপুর ১২টার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় পুলিশের ৪ জন সদস্যসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। পুলিশ রাবার বুলেট ‍ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংঘর্ষ চলাকালে সাংসদের ছেলে আসিফ ইকবাল সনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। ওই কার্যালয়ে বসেই তিনি সংঘর্ষের সাপোর্ট দিয়েছেন বলে অভিযোগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তারিকের।

শনিবার দুপুরে ধুনট উপজেলার বাজার এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালে ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সনি। তিনি বলেন, ‘একটি অনুষ্ঠানে আমি ইউএনও অফিসে ছিলাম। এখানে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা ভিত্তিহীন।’

তবে নুরুন্নবী তারিক বলেন, ‘ভোটের দিন সাংসদের ছেলে আমার এজেন্টদের সাথে খারাপ আচরণ করেছেন। আজকের হামলাও তার নির্দেশে হয়েছে।’

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ‘সাংসদের অনুসারীদের হামলার পরই সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে একাধিক মামলা প্রক্রিয়াধীন।’

এ বিভাগের আরো খবর