ফায়ার সার্ভিসের বহরে কয়েকটি হেলিকপ্টার, হোবার ক্র্যাফটসহ বেশ কিছু অত্যাধুনিক যান ও যন্ত্র যুক্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে মহাখালীর কড়াইল বেলতলা আদর্শ নগর বস্তিতে ফায়ার সার্ভিসের ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ড-বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির মহড়া শেষে এ কথা জানান তিনি।
এসব যান ও যন্ত্র বহরে যুক্ত করতে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেয়ার কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আড়াই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। আজকে ফায়ার সার্ভিসের উন্নত যে যন্ত্রপাতি এটা প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ২২০ কোটি টাকা দিয়ে আমরাই এনেছি। এখন আড়াই হাজার কোটি টাকার যন্ত্র পাবেন আপনারা।’
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ও সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা পাবেন চারটি সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ উইথ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ফ্যাসিলিটি। আমাদের কোনো হেলিকপ্টার নাই, অথচ যেকোনো দুর্গম এলাকায় কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে পারে না, তখন সেখানে হেলিকপ্টার যেতে পারে। সেই সঙ্গে আমরা চারটি হোবার ক্র্যাফট কিনব।’
হোভার ক্র্যাফট হলো উভচর জলযান, যেটা পানি এবং ভূমি উভয়তেই চলতে পারে।
‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস ২০২১’ উপলক্ষে ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ড-বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির এই মহড়ার আয়োজন করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
মহড়া অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ডেনমার্কে গিয়েছিলাম, ওখানে দেখেছি স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশন। আমরা ও রকম ৩৬টি স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশন আনার জন্য পরিকল্পনা নিয়েছি, সে জন্য এলজিডিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। এলজিডিমন্ত্রীকে আমরা বলেছি, উনিও দেখেছেন। আমাদের ৩৬টি ওয়ার্ডের জন্য প্রাথমিকভাবে ৩৬টি স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশন নিয়ে আসতে চাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘এটি দেখতে কনটেইনারের মতো হবে। আমরা এটি বস্তির ভেতরে যাতে স্থাপন করতে পারি, সেটাকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি।’
এই মহড়া কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে, কিছু বিষয় হলেও শেখাবে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘মুজিববর্ষে অগ্নি ও অগ্নিপ্রতিরোধ সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করাই ছিল মহড়ার মুখ্য উদ্দেশ্য।
‘আমরা আশা করছি এই মহড়া কিছুটা হলেও সবার সচেতনতা বাড়াবে। কোনো ধরনের অগ্নিকাণ্ডে আমরা কীভাবে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি, সে ব্যাপারে এই মহড়া আমাদেরকে সম্মুখ ধারণা দিয়েছে বলে আশা করি।’
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহসিন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।