রাজধানীর শাহবাগে ৩৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দার রমনা বিভাগ।
তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ে ব্যবহার করা দুটি চাপাতি, দুটি চাকু, একটি অ্যান্টিকাটার, একটি হাতুড়ি ও আড়াই লাখ টকা উদ্ধার করা হয়েছে।ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে শনিবার ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি ধারাবাহিক অভিযানে ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।তারা হলেন রাকিব নামে পরিচিত মাজহারুল ইসলাম, জহিরুল তালুকদার, খোকা নামে পরিচিত আবু বক্কর সিদ্দিক, সেলিম ওরফে ল্যাংড়া সেলিম, মো. লালন ও মো. সেলিম মিয়া।হাফিজ বলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে শাহবাগ থানার টিএনটি এক্সচেঞ্জের একটি টেম্পু স্ট্যান্ডে শহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির ওপর হামলা চালায় ৮ থেকে ১০ জনের একটি দল। মারধর ও চাকু দিয়ে আঘাত করে তার কাছে থাকা ৩৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। এই ঘটনায় পরদিন শাহবাগ থানায় মামলা হলে ডিবির রমনা টিম অভিযান শুরু করে।
হাফিজ জানান, ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে। সবাই ডিবির নজরে আছে। শিগগিরই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।তিনি বলেন, ছিনতাইয়ের টাকা ছিনতাই চক্রের অন্য সদস্যরা ভাগ করে নিয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করা হলে বাকি টাকাও পাওয়া যাবে।এই চক্রের সদস্য কতজন জানতে চাইলে হাফিজ বলেন, চক্রটি বেশ বড়। তবে তদন্তের স্বার্থে তা এখন বলা যাচ্ছে না।
গত মাস থেকে ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে চলা বিশেষ অভিযানের পরও ছিনতাই কেন কমছে না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ছিনতাই কমেছে কি না, তা জনগণ বিচার করবে। বিশেষ অভিযানের পর থেকে এখন পর্যন্ত আমরা শতাধিক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছি।
‘ছিনতাই এখন নিয়ন্ত্রণে। আমাদের অভিযানের কারণে অনেক ছিনতাইকারী ঢাকা ছেড়ে পালিয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল কাজই হলো মানুষকে নিরাপত্তা ও সেবা দেয়া। আর এই নিরাপত্তা দেয়ার জন্যই আমাদের এই অভিযান।
‘আমরা থানা পুলিশ, ডিবি, ক্রাইম ডিভিশন, র্যাবসহ সবাই মিলে ঢাকার দুই কোটি বাসিন্দার নিরাপত্তায় কাজ করে যাচ্ছি।’