রাজধানীর মুগদার মান্ডায় শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতিপক্ষ কিশোরদের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে মো. হাসান নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় বেলাল নামে আরও এক কিশোর আহত হয়েছে। তাকেসহ আটক করা হয়েছে কয়েকজনকে।
১৬ বছর বয়সী হাসান মুগদার মান্ডা সাবেদ আলীর ভাড়া বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকত। স্থানীয় একটি প্রিন্টিং প্রেসের কর্মচারী হাসান তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তৃতীয়। তাদের বাড়ি কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ভারারা গ্রামে।
নিহতের বড় ভাই মো. হাবিব অভিযোগ করে জানান, মান্ডার লেক তুষার শাহ আলমের গলিতে ৮-১০ জন মিলে হাসানকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, হাসানকে গুরুতর আহত অবস্থায় বন্ধুরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে রাত পৌনে ৮টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা মেডিক্যাল থেকে বেলাল নামে ১৮ বছর বয়সী এক জনকে আটক করা হয়েছে। বেলালের শরীরে ছুরিকাঘাতের জখম রয়েছে। এ ছাড়া উভয় পক্ষের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বলা যাবে, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে, না পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।’
বাচ্চু মিয়া জানান, হাসানের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।
আটক বেলালের অভিযোগ করে বলেছে, ‘সাগর, চানমনিসহ ৭-৮ জন হাসানকে কুপিয়েছে। হাসান জুনিয়র ছেলে। তারাই আমাকে ছুরিকাঘাত করেছে।’
হাসপাতালে উপস্থিত সাগরের অভিযোগ, বেলাল, আশিক, মেজু রতনসহ বেশ কয়েকজন হাসানকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।