বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রন সিকদার আদালতে

  •    
  • ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৪:৫৩

এক্সিম ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা গত ১৯ মে মামলা করার আগে থেকেই রন হক ও দিপু হক সিকদার দেশের বাইরে চলে যান। পলাতক অবস্থায় তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেয়ার চেষ্টা করেন। বাবা জয়নুল হক সিকদারের মৃত্যুর ঘটনায় সকালে দেশে এসেই গ্রেপ্তার হয়েছেন রন।

এক্সিম ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাকে হত্যার হুমকির মামলায় সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রন হক সিকদারকে ঢাকা মুখ্য মহানগর আদালতে নিয়ে আসা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেপ্তারের পর বেলা আড়াইটার দিকে তাকে আদালতে নিয়ে যায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে রনকে আদালতে নেয়া হয়। কালো কাচের এই গাড়িতে ভেতরের কিছু দেখার সুযোগ নেই।

রনর বিরুদ্ধে এক্সিম ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে নির্যাতন ও গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলা আছে। এই মামলায় তার ভাই দিপু হক সিকদারও আসামি। তবে তিনি দেশে আসেননি।

ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে বিদেশে অবস্থান করা রন দেশে এসেছেন তার বাবার মৃত্যুর ঘটনায়। সিকদার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জয়নুল হক সিকদার গত মঙ্গলবার দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে মারা গেছেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশিষ্ট শিল্পপতির মরদেহ আজই দুবাই থেকে ঢাকা আসার কথা আছে। গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে সমাহিত হবেন তিনি।

বাবার শেষকৃত্যে অংশ নিতে রন এসেছেন দেশে। তবে তার আগেই তিনি গ্রেপ্তার হওয়ায় এই ইচ্ছা পূরণে আদালতের অনুমতি লাগবে।

রন সিকদারকে বিকেল ৩টায় ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের হাকিম মো. আশেক ইমামের আদালতে হাজির করার কথা আছে। আসামি পক্ষে আইনজীবী এ কে এম ফুরকান আলী মামলাটি শুনানি করবেন।

এক্মিম ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা গত ১৯ মে মামলা করার আগেই দুই ভাই দেশের বাইরে চলে যান। পলাতক অবস্থায় তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেয়ার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে বিচারক ভর্ৎসনাও করেন তার আইনজীবীদের।

এক্সিম ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে হত্যার হুমকি ও নির্যাতন মামলার আসামি সিকদার গ্রুপের এমডি রন হক সিকদার

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার গোলাম সাকলাইন শিথিল নিউজবাংলাকে জানান, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।

জয়নুলের দুই ছেলে রন ও দিপুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া ও অতিরিক্ত এমডি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে একটি ঘরে বন্দি করে গুলি করে হত্যার হুমকি দেন।

মামলায় বলা হয়, সিকদার গ্রুপ এক্সিম ব্যাংকের কাছে ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নিতে চেয়েছিল। এরপর ব্যাংকটির দুই কর্মকর্তা ঋণ প্রস্তাবের বিপরীতে গ্রুপের বন্ধকি সম্পত্তি পরিদর্শনে যান।

পরিদর্শনে দেখা যায়, সিকদার গ্রুপের এমডির দাবির তুলনায় বন্ধকি সম্পত্তির মূল্য কম। তখন এ নিয়ে কথাবার্তার এক পর্যায়ে দুই ব্যাংক কর্মকর্তাকে একটি অ্যাপার্টমেন্টে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।

মামলায় বলা হয়, দুই ভাই তাদের গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। পাশাপাশি সাদা কাগজে সইও নিয়েছেন।

সিকদার গ্রুপের ব্যবসা আছে ব্যাংক, বিমা, বিদ্যুৎ, এভিয়েশন, আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মতো নানা খাতে।

বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা সিকদার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জয়নুল হক সিকদার। এর সহযোগী কোম্পানির মধ্যে রয়েছে পাওয়ার প্যাক পোর্টস, পাওয়ার প্যাক ইকনোমিক জোন, সিকদার ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, পাওয়ার প্যাক হোল্ডিংস, সিকদার রিয়েল এস্টেট ও মাল্টিপ্লেক্স হোল্ডিংস।

এ বিভাগের আরো খবর