বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জামিন পেলেও মুক্তি মিলছে না ফাতেমার বর্তমান স্বামীর

  •    
  • ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০৪

আইনজীবী শিশির বলেন, ‘শাহ আলমের বিরুদ্ধে তার সাবেক স্ত্রীর (জাকির হোসেনের বোন) যৌতুক আইনে তিন বছরের আরেকটি কারাদণ্ডাদেশ রয়েছে। সেটায় জামিন হলেই শাহ আলম মুক্তি পাবেন।’

বরগুনার পাথরঘাটার ফাতেমা বেগমকে অপহরণের অভিযোগে তার সাবেক স্বামী জাকির হোসেনের করা মামলায় বর্তমান স্বামী শাহ আলমকে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে সাবেক স্ত্রীর (জাকির হোসেনের বোন) মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় মুক্তি মিলছে না শাহ আলমের।

অপহরণ মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে ২০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শাহ আলমের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্টে বেঞ্চ তাকে জামিন দেয়।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পি।

মামলার বিবরণে জানা যায়, জাকির হোসেনের সঙ্গে ফাতেমার বিয়ে হয় ২০০৭ সালে। ২০০৮ সালে তাদের সন্তান হয়। এর কয়েক বছর পর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ফাতেমা পালিয়ে যান। ২০১২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ফাতেমা তালাক দেন জাকির হোসেনকে।

এরপর ফাতেমা বিয়ে করেন সাবেক স্বামী জাকির হোসেনের বোনজামাই শাহ আলমকে। এ অবস্থায় স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে অপহরণের অভিযোগে ২০১২ সালের ৫ মে পাথরঘাটা থানায় শাহ আলমসহ আটজনকে আসামি করে মামলা করেন জাকির হোসেন।

পুলিশ তদন্ত শেষে সব আসামির বিরুদ্ধে ওই বছরের ৩০ আগস্ট অভিযোগপত্র দেয়। ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন।

মামলায় ফাতেমা বরগুনার পাথরঘাটার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে বলেন, ‘আমাকে শাহ আলম অপহরণ করেননি। শাহ আলমকে আমি মাস খানেক আগে স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছি।

‘২০০৭ সালে জাকিরের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। কিন্তু জাকিরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে শাহ আলমকে বিয়ে করি। তবে দ্বিতীয় বিয়ের ৪/৫ মাস আগে জাকিরকে তালাক দেই। সে এখন আর আমার স্বামী নয়। আমাকে কেউ অপহরণ করেনি।’

শাহ আলম বছর খানেক আগে তার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেন বলেও আদালতকে জানান বর্তমান স্ত্রী ফাতেমা বেগম।

মামলায় গত ১৪ ডিসেম্বর বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান আসামি শাহ আলমকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়ে রায় দেন। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয় তাকে।

বাকি ৭ আসামির প্রত্যেককে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড; অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

রায়ে বলা হয়, ‘ফাতেমা অপহরণ হননি এবং প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়েছেন বলে ফাতেমা বেগম ২২ ধারায় যে জবানবন্দি দিয়েছেন তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় মনে হচ্ছে, তালাক না দিয়েই তিনি শাহ আলমের কাছে চলে গেছেন। আইনের চোখে এটা অপরাধ মনে হওয়ায় আসামিকে শাস্তি দেয়া হয়েছে।’

এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন শাহ আলম। সঙ্গে জামিন প্রার্থনা করেন।

হাইকোর্ট শাহ আলমের সে আপিলটি গ্রহণ করার পাশাপাশি তার জামিন মঞ্জুর করেন। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শাহ আলমকে জামিন দেন।

শাহ আলমের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, ‘শাহ আলমের বিরুদ্ধে তার সাবেক স্ত্রীর (জাকির হোসেনের বোন) যৌতুক আইনে তিন বছরের আরেকটি কারাদণ্ডাদেশ রয়েছে। সেটায় জামিন হলেই শাহ আলম মুক্তি পাবেন।’

জানা যায়, ফাতেমা বেগম তিন সন্তানের মা। সাবেক স্বামী জাকির হোসেনের সঙ্গে সংসার করা অবস্থায় ২০০৮ সালে প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। এরপর শাহ আলমের সঙ্গে সংসার করা অবস্থায় ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি দ্বিতীয় সন্তান এবং ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট তৃতীয় সন্তানের জন্ম হয়।

এ বিভাগের আরো খবর