দেশের পরিবেশ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২০’ পাচ্ছে তিন ব্যক্তি ও তিনটি প্রতিষ্ঠান।
পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ শাখায় ব্যক্তিগত পর্যায়ে এ পদক পাচ্ছে সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রের (সিআরপি) প্রতিষ্ঠাতা ভ্যালেরি অ্যান টেইলরের হাতে। আর প্রাতিষ্ঠানিক পদকটি যাচ্ছে কনকর্ড রেডিমিক্স অ্যান্ড কনক্রিট প্রোডাক্টস লিমিটেড ও কনকর্ড প্রি-স্ট্রেসড কনক্রিট অ্যান্ড ব্লক প্লান্ট লিমিটেডের কাছে।
পরিবেশগত শিক্ষা ও প্রচার শাখায় ব্যক্তিগত পর্যায়ে পরিবেশ পদক পাচ্ছেন জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ড. সালীমুল হক। আর প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশনকে (ইএসডিও) পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন শাখায় এ পদকটি পাচ্ছেন ব্যক্তিগত পর্যায়ে ড. জহুরুল করিম। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) পাচ্ছে এ শাখার প্রাতিষ্ঠানিক পদকটি।
জাতীয় পরিবেশ পদক পেতে যাওয়া প্রত্যেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হবে ২২ ক্যারেট মানের দুই তোলা সমপরিমাণ স্বর্ণের বাজারমূল্য ও অতিরিক্ত পঞ্চাশ হাজার টাকার চেক, ক্রেস্ট এবং সনদপত্র।
বৃহস্পতিবার জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২০ মনোনয়ন চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত পদক সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।
মন্ত্রী বলেন, নীরবে কাজ করে যাওয়া সকল মানুষ ও প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহ দিতে আগামীতে পুরস্কারের পরিমাণ আরও বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সচিব জিয়াউল হাসান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ কে এম রফিক আহাম্মদ, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং কমিটির অন্য সদস্যরা।