বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তদন্তের অন্তহীন চক্রে সাগর-রুনির হত্যা

  •    
  • ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২২:৫১

৯ বছরে ৭৮ বার সময় চেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। মা বলছেন, তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সন্তান হত্যার বিচার দেখার অপেক্ষায় থাকবেন।

সংস্থার পর সংস্থার হাত বদল হয়েছে। কিন্তু ৯ বছরেও অগ্রগতি নেই সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ড তদন্তের। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ইতিমধ্যে আদালত থেকে ৭৮ বার সময় নেয়া হয়েছে।

সবশেষ গত ৩ ফেব্রুয়ারি এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। সেদিন ঢাকার মুখ্যমহানগর আদালতের হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী আগামী ১১ মার্চ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন তারিখ রেখেছেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি এই সাংবাদিক দম্পতিকে ধানমন্ডির পশ্চিম রাজাবাজারের নিজ বাসায় নৃশংসভাবে খুন করা হয়। ঘটনার দিন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ৪৮ ঘণ্টায় তদন্ত শেষ করার আশ্বাস দিয়েছিলেন।

সবশেষ, গত বছর ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাইকোর্টে দাখিল করা অগ্রগতির প্রতিবেদনে বলেন, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুজন অপরিচিত ব্যক্তি জড়িত ছিলেন। সাগরের হাতে বাঁধা চাদর এবং রুনির টিশার্টে ওই দুই ব্যক্তির ডিএনএ-এর প্রমাণ মিলেছে।

অপরাধীদের শনাক্ত করতে ডিএনএ রিপোর্ট প্রস্তুতকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ল্যাব যথাক্রমে ইন্ডিপেনডেন্ট ফরেনসিক সার্ভিস এবং প্যারাবন স্ন্যাপশট ল্যাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বর্তমানে যোগাযোগ অব্যাহত আছে। প্রতিষ্ঠান দুটি ডিএনএ-এর মাধ্যমে অপরাধীর ছবি বা অবয়ব প্রস্তুতের প্রচেষ্টায় কাজ করে যাচ্ছে।

তদন্তের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব সদর দফতরের সহকারী পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের সঙ্গে এই মামলার বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

সাগর সারোয়ারের মা সালেহা মনির আদালতপাড়ার সাংবাদিকদের বলেন, ‘৯ বছর হয়ে গেল, এখনও সন্তান হত্যার বিচার পেলাম না। মামলার তারিখ আসে আর যায়। আমরা এসে খোঁজ জেনে ফিরে যাই।’

তিনি আরো বলেন, ‘উচ্চ আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে একটা সময় বেঁধে দিক। র‌্যাব যদি রহস্য উদঘাটন করতে না পারে তাহলে ব্যর্থতা স্বীকার করে মামলা ছেড়ে দিক। অন্য কোনো সংস্থা আমার সন্তান হত্যার তদন্ত করে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করবে।’

সালেহা মনির বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের বিচার একদিন হবেই। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমার নিঃশ্বাস থাকা পর্যন্ত আমি সাগর-রুনি হত্যার বিচার চেয়ে যাব।’

সাগর-রুনি হত্যার পরদিন ১২ ফেব্রুয়ারি রুনির ভাই নওশের আলী রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন।

প্রথমে মামলাটির তদন্ত করেন ওই থানার একজন কর্মকর্তা। ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তভার পড়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল আলমের ওপর।

দুই মাস পর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব)।

এ বিভাগের আরো খবর