রাজধানীর ওয়ারীর স্বামীবাগের একটি বাসা থেকে এক যুবকের পাঁচ টুকরো মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক নারীকে আটক করা হয়েছে।
নিহত যুবকের নাম সজিব হাসান। তিনি শ্যামলী পরিবহনে কর্মরত ছিলেন। বাড়ি ঝিনাইদহে।
পুলিশ বলছে, সজিবকে হত্যা করেছেন শাহনাজ পারভীন নামের ওই নারী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের পাঁচ টুকরো দেহ সুরতহাল শেষে সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
ডিএমপি ওয়ারী জোনের সহকারী কমিশনার হান্নানুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, নিহত যুবক ও আটক নারীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে স্বামীবাগ রেলগেটসংলগ্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নেন। পারভীন বৃহস্পতিবার সকালে সজিবের বাসায় আসেন। সেখানে কিছু একটা নিয়ে বিতর্ক হয়। একপর্যায়ে ছুরি মেরে সজিবকে হত্যা করেন পারভীন। এরপর দুই হাত ও দুই পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করেন তিনি।
হত্যার পর দেহ টুকরো করার কাজটি শাহনাজ পারভীন একাই করেছেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, শাহনাজের পৃথক সংসার রয়েছে। তা সত্ত্বেও সজিবকে নিয়ে স্বামীবাগ রেলগেটসংলগ্ন বাসাটি স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ভাড়া নিয়েছিলেন। সেখানে শাহনাজের নিয়মিত যাতায়াত ছিল বলে প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছেন।
সহকারী কমিশনার হান্নানুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পেরেছি। তবে ঠিক কী কারণে সজিবকে হত্যা করা হয়েছে, তা অধিকতর তদন্তে বেরিয়ে আসবে। আমরা নিহতের পরিবারকে খবর দিয়েছি। তারা ঢাকার বাইরে থেকে এখনও এসে পৌঁছাতে পারেননি। পরিবারের সদস্যরা এলে মামলা হবে।’