পৌরসভা নির্বাচন শেষ না হতেই আবার তৃণমূলে ভোটের আয়োজন করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এবার ভোট হবে দেশের সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়ন পরিষদের।
আগামী মে মাস থেকে শুরু হবে এই নির্বাচন। পৌর নির্বাচনের মতোই ধাপে ধাপে হবে এই ভোট।
এই নির্বাচনের জন্য আগামী মাস মার্চেই চূড়ান্ত হবে ভোটার তালিকা।
তৃণমূলে দলীয় প্রতীকে ভোট না নেয়ার যে আলোচনা চলছিল, সেটি নাকচ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতেই চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপের পৌরসভা নির্বাচন শেষ হচ্ছে। এপ্রিলের (৭ এপ্রিল) প্রথম সপ্তাহে কিছু বাদ পড়া পৌরসভা ও কিছু নির্বাচন উপযোগী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন প্রস্তাব এসেছে। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি কমিশন সভায় তা চূড়ান্ত হবে।
পৌরসভা নির্বাচনে চতুর্থ ধাপে আগামী রোববার আর পঞ্চম ধাপে ভোট হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি।
২০১৬ সালের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত ছয় ধাপে ৪ হাজারের বেশি ইউনিয়নে ভোট হয়। সেবার প্রথম দলীয় প্রতীকে ইউপির ভোট নেয় নির্বাচন কমিশন। এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না নেয়ার বিষয়ে আলোচনা ছিল। তবে সিইসি জানান, দলীয় প্রতীকেই হবে তৃণমূলের ভোট।
ইউনিয়ন পরিষদের দলীয় প্রতীকে ভোটের বিষয়ে আইনে কোনো সংশোধন আসবে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আইন সংশোধন করার সুযোগ নেই, সংশোধন করার দরকারও নেই। আমাদের নির্বাচনে যেসব আইন-বিধি আছে তা যথেষ্ট। এ সময় নির্বাচন আইনের সংশোধনের সুযোগ নেই, সময়ও নেই।’
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি আশা করেন, নির্বাচনি সহিংসতার বৃত্ত থেকে দেশ বের হয়ে আসবে।
তিনি বলেন, ‘কোথাও কোথাও ভোটে সংঘাত হয়। এগুলো চলে গেলে খুশি হব, কিন্তু যাচ্ছে না। আশা করি ভবিষ্যতে হয়তো দেশে নির্বাচনি সহিংসতা, সংঘাত হবে না।’
আগামী রোববার চতুর্থ ধাপে ৫৬টি পৌরসভায় ভোটের তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। ভোটের প্রচারে একজনের প্রাণ গেছে টাঙ্গাইলের গোপালপুরে। ঝিনাইদহের একটি পৌরসভায় ভোটারদের আগে থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেয়ার বিষয়ে শ্রমিক লীগ নেতার পরামর্শের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে।
তবে সিইসি আশা করেন, ভোট ভালো হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি আছে। নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনার দিক থেকে যা যা দরকার সেসব ঠিকঠাক রেখেছি। আমি আশা করি, এরপর থেকে যেসব নির্বাচন হবে সেগুলো ভালো হবে, সুষ্ঠু হবে, রক্তপাত হবে না।’
সাম্প্রতিক বিভিন্ন নির্বাচনে ব্যাপক হারে সহিংসতা হয়নি বলে মনে করেন সিইসি। তিনি বলেন, এত রক্তপাত হয়েছে, এত সংঘাত হয়েছে- তা নয়। কিছু হয়েছে তা প্রার্থীদের কারণে।
‘প্রচুর পুলিশ, র্যাব ও ম্যাজিস্ট্রেট থাকে তারপরও হঠাৎ ঘটনা ঘটে যায়। এটা অপ্রত্যাশিত। এতে আমাদের করার কিছু থাকে না। তবে এতে ব্যাপকভাবে সংঘাত হয়েছে তা বলা যাবে না। পুরো নির্বাচনে তিন-চারটি জায়গায় সংঘাত ঘটেছে’-বলেন সিইসি।