অনিয়ম-দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতির অভিযোগে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) তদন্তের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, জানাতে রুল দিয়েছে হাইকোর্ট।
এ-সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।
এলজিআরডি সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, চট্টগ্রাম ওয়াসা, চট্টগ্রাম ওয়াসা বোর্ড, চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের বিভাগীয় পরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে হবে।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. ইকরাম উদ্দিন খান চৌধুরী। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. নওশের আলী মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
রিটকারির আইনজীবী ইকরাম উদ্দিন খান চৌধুরী জানান, চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডির বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে দুর্নীতির অভিযোগে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। চট্টগ্রামের মোমিন রোডের বাসিন্দা ও ওয়াসার গ্রাহক হাসান আলী এসব প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু তুলে ধরে গত ১১ সেপ্টেম্বর দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক বরাবর অভিযোগ দেন। তবে দুদক কোনো সাড়া না দেয়ায় তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন কী পদক্ষেপ নিয়েছে ২৩ সেপ্টেম্বর তা জানতে চেয়েছিল হাইকোর্ট। ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করে।