ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের (ইউল্যাব) এক ছাত্রীকে মদ্যপান করিয়ে ধর্ষণে সহযোগিতা ও হত্যার অভিযোগে মামলায় তার এক বান্ধবীকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করার পর কারাগারে পাঠিয়েছে বিচারক।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সত্যব্রত শিকদার এ আদেশ দেন বলে নিউজবাংলাকে জানান মোহাম্মদপুর থানার (নারী ও শিশু) আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক সৈয়দা আফসানা আফরোজ।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি নিহত শিক্ষার্থীর ওই বান্ধবীকে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। পরের দিন তাকে আদালতে তুলে পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে পাঁচ দিনের অনুমতি দেন বিচারক। আর নিহত শিক্ষার্থীর আরেক বন্ধু আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীর দুই বন্ধুকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে পাঠায় আদালত, যাদের একজন মামলাটির প্রধান আসামি।
ইউল্যাবের ওই শিক্ষার্থী ৩১ জানুয়ারি রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগেই ধর্ষণের অভিযোগ এনে পাঁচ জনকে আসামি করে মামলা করেন নিহতের বাবা। মামলার আগেই মারা যান এক আসামি।
এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে যাকে আসামি করা হয়েছে, তাকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, গত ২৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলায় আসামি করা দুই জনসহ উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে যান ওই শিক্ষার্থী। সেখানে আরও দুই জন আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, রেস্টুরেন্টে অতিরিক্ত মদ পান করানোয় শিক্ষার্থী অসুস্থ বোধ করেন। সেখান থেকে মোহাম্মদপুরে এক বান্ধবীর বাসায় যান তারা। সে বাসায় এক নম্বর আসামিও যান। রাতে তার দ্বারাই শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হন।
বিবরণে আরও বলা হয়েছে, ওই বাসায় থাকা অবস্থায় একাধিকবার বমি করেন ওই ছাত্রী। পরদিন সকাল ৭টার দিকে প্রথমে ইবনে সিনা হাসপাতাল ও পরে আনোয়ার খান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় আইসিইউতে রাখা হয় তাকে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও জোনের ডিসি হারুন অর রশীদ বলছেন, ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামির সঙ্গে মেয়েটির পূর্ব সম্পর্ক ছিল।
তবে নিহত ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানান ময়নাতদন্ত করা চিকিৎসক শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সেলিম রেজা।