বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কাদের মির্জার গাড়িবহরে ডিম হামলা

  •    
  • ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৭:২৬

‘আমাকে হত্যা করার জন্য একরাম চৌধুরীর সন্ত্রাসীরা, নিজাম হাজারীর সন্ত্রাসীরা, দিদারুলের সন্ত্রাসীরা গাড়ি প্রতিরোধ করে। সামনে একটি ট্রাক থাকায় আমার গাড়িটি পার হয়ে আসলেও পেছনের গাড়িতে দুর্বৃত্তরা ইটপাটকেল লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে এবং ডিম ছোড়ে।’

নোয়খালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার গাড়িবহরে হামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সেলিম নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা আহত হওয়ার দাবি করেছেন কাদের মির্জা।

শপথ নেয়ার জন্য চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে দাগনভুঞা জিরো পয়েন্টে বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে দুর্বৃত্তরা তার গাড়িবহরে হামলা করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

হামলার বিষয়টি কাদের মির্জা সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিজ ফেসবুক পেজে লাইভে এসে নিশ্চিত করেন।

তিনি গাড়িবহরে হামলার জন্য নোয়াখালীর সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী, ফেনীর সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী ও দাগনভূঞা উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবিরকে দায়ী করেছেন।

তিনি বলেন, ‘একরাম চৌধুরীর সন্ত্রাসীরা, নিজাম হাজারীর সন্ত্রাসীরা, দিদারুলের সন্ত্রাসীরা আমাকে হত্যা করার জন্য গাড়ি প্রতিরোধ করে। সামনে একটি ট্রাক থাকায় আমার গাড়িটি পার হয়ে আসলেও পেছনের গাড়িতে দুর্বৃত্তরা ইটপাটকেল, লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে এবং ডিম ছোড়ে।’

তবে দাগনভূঞা উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করে গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি ঢাকায় আছেন। তবে তিনি শুনেছেন ওই এলাকার সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিকদের সঙ্গে কাদের মির্জার কিছুদিন ধরে ঝামেলা চলছিল। তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ ভিত্তিহীন।

কাদের মির্জা। ছবি: সংগৃহীত

দাগনভূঞা সার্কেলের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসপি) সাইকুল আহমেদ বলেন, ‘মির্জা কাদের দাগনভূঞা এলাকায় ঢুকলে কে বা কারা তার গাড়িতে ঢিল ছোড়ে। এরকম একটি সংবাদ পেয়েছি। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি।’

দাগনভূঞা থানার ওসি মো. ইমতিয়াজ আহমদ নিউজবাংলাকে জানান, তিনি মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়েছেন। অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

গত ১৬ জানুয়ারির ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি ও স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করা এক জামায়াত নেতাকে বিপুল ভোটে হারিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো মেয়র হন কাদের মির্জা। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর সম্মিলিত ভোটের চেয়ে সাড়ে তিন গুণ সমর্থন পেয়েছেন ভোটারদের।

এই নির্বাচনের আগে সুষ্ঠু ভোট চেয়ে আন্দোলনে নেমে সারা দেশে পরিচিতি পান কাদের মির্জা। সেই সঙ্গে নোয়াখালী সদর আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর সঙ্গে তার বিরোধও সামনে এসেছে। একরামুল ও কাদের মির্জার পরস্পরবিরোধী বক্তব্য গণমাধ্যমগুলোতে শিরোনাম হয়ে এসেছে বারবার।

এ বিভাগের আরো খবর