নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় অভিযোগপত্র অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয় বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন দুদকের পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।
এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর এই দম্পতিকে কাশিমপুর কারাগার থেকে তিন দিনের রিমান্ডে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আনা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজের নেতৃত্বে একটি দল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।
এ সম্পর্কে সেদিন দুদক সচিব মুহা. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখান থেকে কী বেরিয়ে আসে, তার ওপর নির্ভর করে পরবর্তী ব্যবস্থা।
গত বছরের ৪ আগস্ট ৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে ২৫টি রুমে অবস্থান করে মোট ৩ কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬০ টাকার বিল পাপিয়া নিজে ক্যাশে পরিশোধ করেন।
পাপিয়া বিলাসবহুল জীবন যাপন পছন্দ করতেন। তাই ওয়েস্টিন হোটেলে থাকা অবস্থায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার শপিং করেছেন বলেও জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ বছর মাসিক ৫০ হাজার টাকা করে ৩০ লাখ টাকা বাসা ভাড়া দিয়েছেন পাপিয়া। গাড়ির ব্যবসায় ১ কোটি টাকা এবং নরসিংদীতে কেএমসি কার ওয়াশ সলিউশনে ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন।
মোট ৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৭১৮ টাকা খরচ করেছেন তারা। এ অর্থ উপার্জনের কোনো বৈধ উৎস তারা দেখাতে পারেননি।
গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর বিদেশে পাড়ি দেয়ার সময় ঢাকার বিমানবন্দর থেকে তাদের আটক করে র্যাব।
এর আগে ১২ অক্টোবর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় পাপিয়া ও তার স্বামীর সর্বোচ্চ ২০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।