মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনকে লক্ষ্য রেখে জনপ্রতিনিধিদের কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেশের মানুষের কল্যাণ করা, তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করাই যেন লক্ষ্য হয় আপনাদের। সারা দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য অনেক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি, সেগুলো বাস্তবায়নও করে যাচ্ছি।
‘আমরা এটাই বিশ্বাস করি, দেশের কল্যাণে কাজ করলে করা যায়। এখানে জনগণের সমর্থনটা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেই সমর্থন আমরা পাই।’
চট্টগ্রামের নির্বাচিত মেয়র-কাউন্সিলরদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের কাছে যে ওয়াদা করেছেন আর আজকে যে শপথ নিলেন, সেটা মাথায় রেখেই আপনারা মানুষের জন্য কাজ করবেন।’
সকালে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে শপথ নেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশেনের নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলররা। অনলাইনে যুক্ত হয়ে নির্বাচিত মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীকে শপথ পড়ান প্রধানমন্ত্রী। আর কাউন্সিলরদের শপথ পড়ান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
গত ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভোট হয়। এতে মেয়র পদে বড় ব্যবধানে জয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী। যদিও বিএনপির প্রার্থী শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনেছেন।
মুজিববর্ষে আরও এক লাখ ঘর
মুজিববর্ষ উপলক্ষে আরও ১ লাখ ঘর তৈরি করা হচ্ছে জানিয়ে অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইতিমধ্যে ৫০ হাজার ঘর নির্মাণের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা ছাড় করেছি।’
মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারা দেশের জমি-গৃহহীনদের ঘর করে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রায় ৯ লাখ পরিবারকে ধাপে ধাপে ঘর করে দেয়া হবে। এরই মধ্যে প্রথম ধাপে ৬৬ হাজারেরও বেশি পরিবার ঘর বুঝে পেয়েছে।
ঘরের পাশাপাশি জমির মালিকানাও দেয়া হচ্ছে। প্রত্যেককে তার জমি ও ঘরের দলিল নিবন্ধন ও নামজারিও করে দেয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সার্ভে (জরিপ) করে দেখেছি একটি লোকও যেন গৃহহারা না থাকে। যার যার গ্রামের বাড়ি আছে দেখবেন সেখানে কোনো মানুষ গৃহহীন আছে কি না। সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেবেন, আমরাও সঙ্গে সঙ্গে ঘর করে দেব।
‘এক জন মানুষও গৃহহীন থাকবে না এটিই আমাদের লক্ষ্য।’
এ সময় করোনার ভ্যাকসিন নিতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতেও জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেন সরকারপ্রধান। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে আপনারা দেখেছেন ভ্যাকসিন আমরা আনতে পেরেছি শুধু তাই না। আমরা এটা প্রয়োগ করছি, দিচ্ছি। এ ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে স্ব স্ব এলাকার মানুষ তারা যাতে সময়মতো ভ্যাকসিনটা নিতে পারে ।
‘এই নিবন্ধনটাও সহজ করে দেয়া হয়েছে, প্রত্যেকটা ডিজিটাল সেন্টারে নিবন্ধন করা যাবে। আর তা ছাড়া আইডি কার্ড নিয়ে গেলে সেটা দেখেই নিবন্ধন হয়ে যাবে। সাথে সাথে ভ্যাকসিনটা নিয়ে নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন।’