বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সারা দেশের এই জায়গাতেই কিছু কিনতে পারি: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৪:২৩

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার দুঃখ থাকল আমি এখানে স্বশরীরে উপস্থিত থাকতে পারলাম না। আর এই একটি জায়গা, যেখানে আমি প্রতিবার যাই। আনসার-ভিডিপির যে কালচারাল অনুষ্ঠান হয়, সেটা উপভোগ করি।’

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে এ বছর সখীপুরে গিয়ে কেনাকাটা করতে না পারায় আফসোস করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (ভিডিপি) ৪১তম জাতীয় সমাবেশে বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এ আক্ষেপ করেন।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘সারা বাংলাদেশের এই একটা জায়গায় গেলেই আমি কিছু কিনতে পারি, সেটা হচ্ছে সখীপুরের এই জায়গাটা।

‘আমার দুঃখ থাকল, আমি এখানে স্বশরীরে উপস্থিত থাকতে পারলাম না। আর এই একটি জায়গা, যেখানে আমি প্রতিবার যাই। আনসার-ভিডিপির কালচারাল অনুষ্ঠান যেটা হয়, সেটা উপভোগ করি।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সব মানুষ যে আসেন তারা বিভিন্ন জিনিস তৈরি করেন। আমি সেখানে একটু কেনাকাটাও করি, বাজারও করি। কিন্তু করোনার কারণে যাওয়া হলো না।’

ভয় পাবেন না, টিকা নিন

দেশের প্রতিটি মানুষ যেন করোনাভাইরাস-প্রতিরোধী টিকা নেন, তা নিশ্চিত করতে আনসার সদস্যদের সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা করোনাভাইরাস মোকাবিলা করছি। আমি সকলকে অনুরোধ করব, আনসার-ভিডিপির প্রত্যেকটা সদস্যকে, প্রতিটি মানুষ যেন এই করোনার টিকাটা নেয়। কারণ টিকা দেয়া আমরা ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেকেই ভয় পান, সুঁই ফোটাতেই ভয় পান। এ রকমও কিছু কিছু মানুষ আছে। কিন্তু তারা যাতে রোগাক্রান্ত না হন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলার পাশাপাশি যেন টিকাটাও তারা নেন, সময়মতো সে ব্যবস্থাটা আমরা করেছি। আমরা আপনাদের সহযোগিতাও চাই।’

ছেলে-মেয়েরা যেন বিপথে না যায়

সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধে আনসার সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে ভবিষ্যতেও তৎপরতা অব্যাহত রাখতে তাদের আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাল্যবিয়ে রোধ করা, মাদক-সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, আমাদের দেশের যুবসমাজ যেন এর সাথে সম্পৃক্ত না হয় এ ব্যাপারে বিশেষ ভূমিকা আপনারা রেখে যাচ্ছেন এবং আরও এটা রাখা প্রয়োজন।

‘এর জন্য বিভিন্ন তথ্য ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন থেকে শুরু করে অন্য কাজগুলো আপনাদের করতে হবে, আমাদের ছেলে-মেয়েরা যেন বিপথে না যায়।’

এ সময় আনসার বাহিনীর উন্নয়নে সরকারের নেয়া নানা কর্মসূচি তুলে ধরেন সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারই প্রথম, আনসার ভিডিপি যে মানুষকে সেবা দেন, তাতে যে পদক দেয়া বা সম্মান দেয়া, এটা আমরাই প্রথম চালু করি। তারই স্বীকৃতিস্বরূপ সেবা ও সাহসিকতা পদক আমরা প্রবর্তন করি।’

আনসার সদস্যরা পেল নতুন পোশাক

অনুষ্ঠানে আনসার সদস্যদের জন্য নতুন পোশাক প্রবর্তন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই পোশাক তিনি নিজেই পছন্দ করেছেন বলে জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেক বাহিনীর নিজস্ব পোশাক আছে। কাজেই আমরা পাকিস্তান আমলের সেই খাকি পোশাক বাদ দিয়ে এখন নতুন ড্রেস ও কমব্যাট পোশাক প্রদান করেছি।

‘এই রং এবং ডিজাইনটা আমি নিজেই পছন্দ করে দিয়েছি, আশা করি আপনাদের সবার পছন্দ হয়েছে।’

নারী সদস্যদের পোশাকেও পরিবর্তন আনা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি ছেলেদের যেহেতু কমব্যাট পোশাক, তাই মেয়েদের জন্যও একটু নতুন কিছু চিন্তা করতে হবে। হয়তো নতুন ডিজাইনে কিছু শাড়ি আমরা করে দেব।’

আর্থিক অসচ্ছল সদস্যের জন্য বাড়ি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, দেশের প্রতিটি রেঞ্জে আর্থিকভাবে অসচ্ছল এক জন করে আনসার সদস্যকে বাড়ি করে দেবে সরকার।

তিনি বলেন, ‘আর্থিকভাবে অসচ্ছল কিন্তু সরকারের প্রতি দায়িত্ব পালনে অবিচল বিবেচনায় দেশের প্রতিটি রেঞ্জে এক জন করে ভিডিপি সদস্যকে বাড়ি বানিয়ে দেয়ার কার্যক্রম চলমান আছে।

‘পর্যায়ক্রমিকভাবে প্রত্যেক এলাকায় আমরা এভাবে বাড়ি তৈরি করে দেব।’

এ ছাড়াও আনসার ও ভিডিপির প্রশিক্ষণের জন্য জায়গা খোঁজার বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা প্রশিক্ষণকে গুরুত্ব দিই। এই প্রশিক্ষণের জন্য একটা ভালো জায়গা খুঁজতে আমি ইতিমধ্যে মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছি, যাতে করে সেখানে ভালোভাবে একটা প্রশিক্ষণকেন্দ্র গড়ে তোলা যায়।’

এ বিভাগের আরো খবর