সংসদীয় কমিটির বরাত দিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিভিন্ন সময়ে গৃহীত শ্রান্তবিনোদন ভাতা, গবেষণা ভাতা এবং ক্যাম্পাসের বাইরে বসবাসরত শিক্ষকদের যাতায়াত ভাতা ও সাব-স্ট্যান্ডার্ড বাসাগুলোতে কম ভাড়া দেয়ার বিষয়টিকে আর্থিক অনিয়ম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগের বিষয়ে জানানো হয়। এতে বলা হয়, ৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, অনিয়মের অর্থ তিন মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক -কর্মচারীদের বেতন-ভাতা থেকে কেটে নিতে বলেছে সরকারি হিসাব কমিটি ।
এ বিষয়ে বিবৃতিতে শিক্ষক সমিতি বলছে, সময়ের চাহিদা অনুযায়ী স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সিনেট ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আইনগত ক্ষমতাবলে উল্লেখিত ভাতাদি দিয়েছে। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান আইনি কাঠামোর মধ্যে শিক্ষকদের এসব আর্থিক সুবিধা দেয়া হয়েছে, তাই তা ফেরত নেয়ার বা প্রত্যাহারের কোনো সুযোগ নেই ।
এর বিরুদ্ধে কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মেনে নেবে না বলেও জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমসহ মুক্তবুদ্ধির চর্চা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার স্বার্থে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩’ প্রণয়ন করেন, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সব সময় সমুন্নত রাখতে সচেষ্ট আছে ও থাকবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজকে সরকারের প্রতিপক্ষ বানানোর অপচেষ্টা হচ্ছে উল্লেখ করে এতে বলা হয়, ‘বর্তমানে রাষ্ট্র ও শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে যেভাবে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে, সে সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক অনিয়ম সংক্রান্ত বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান এবং স্বায়ত্তশাসনের সমালোচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজকে সরকারের প্রতিপক্ষ করার যে অপচেষ্টা, সেটির নিন্দা জানাচ্ছি।’
শতবর্ষী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিশ্বমানে উন্নীতকরণে এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।