বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টাকা আত্মসাৎ: বিআইএফসির দুই কর্মকর্তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

  •    
  • ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২০:৩৪

হাইকোর্টে হাজির হয়ে আগাম জামিন চাইলে আদালত তাদেরকে জামিন দেননি। পাশাপাশি তাদেরকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।

নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স করপোরেশন লিমিটেড (বিআইএফসি) থেকে দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় ৪৩ কোটি টাকা আত্মসাতের দুটি মামলায় প্রতিষ্ঠানটির দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

বিআইএফসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনামুর রহমান এবং সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব বিজনেস সৈয়দ ফাখরি ফয়সলকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বুধবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

এর আগে, হাইকোর্টে হাজির হয়ে আগাম জামিন চাইলে আদালত তাদেরকে জামিন দেননি। পাশাপাশি তাদেরকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আলমগীর হোসেন। রাষ্ট্র পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী একেএম ফজলুল হক।

প্রতারণা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধমূলক অসদাচরণের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৯ সালের ৮ আগস্ট দুটি মামলা করেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর উপ-পরিচালক এস এম সাহিদুর রহমান।

মামলায় দুটি প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

বিআইএফসির সাবেক চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানসহ ১১ জনকে মামলায় আসামি করা হয়। মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- বিআইএফসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহমুদ মালি, সাবেক এভিপি অ্যান্ড ইউনিট হেড আহমেদ করিম চৌধুরী, সাবেক সিনিয়র অফিসার (বিজনেস) মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, সাবেক অফিসার মো. সৈকত আজাদ ও মাসুদ-উল-রেজা চৌধুরী, সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার তানিজা মাজেদ, সাবেক সিনিয়র অফিসার ও রিজিওনাল ম্যানেজার আফ্রিদা আহসান, ডি আফরোজ সোয়েটার ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি গোলাম জিলানী দিদার ও ক্লিক টু ডিজাইনের এমডি মো.নাজমুল বাশার। এদের মধ্যে শেষের পাঁচজন একটি করে এবং অন্যরা দুটি করে মামলার আসামি।

এরমধ্যে এক মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ডি আফরোজ সোয়েটার ইন্ডাস্ট্রিজের নামে দুটি ঋণচুক্তির আওতায় বোর্ড সভায় অনুমোদনের বাইরে অতিরিক্ত অর্থসহ নেওয়া ঋণের মধ্যে ২৮ কোটি ৮৪ লাখ ৩৫ হাজার ২৯৪ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে মঞ্জুরি করা ৪৫ লাখ টাকা ঋণের বিপরীতে কোনো অনুমোদন ছাড়াই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন চেক এবং পে-অর্ডারের মাধ্যমে অতিরিক্ত ৬১ কোটি ৩৯ লাখ ৯৬ হাজার ৫৬৭ টাকা অবমুক্ত করা হয়। এর মধ্যে কিছু অর্থ পরিশোধ করা হয়। বাকিটা এখন পর্যন্ত পরিশোধ করা হয়নি।

দুদকের অনুসন্ধান মতে, ডি আফরোজের নামে জালিয়াতির মাধ্যমে বরাদ্দ অতিরিক্ত টাকার ইস্যু করা চেকের অধিকাংশই মেজর (অব.) মান্নানের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গেছে। এর মাধ্যমে দুদক বলছে, এই জালিয়াতির প্রধান সুবিধাভোগী মেজর মান্নান এবং তিনি নিজেই এই অপরাধের সঙ্গে সরাসরি জড়িত।

অন্য মামলাটি ক্লিক টু ডিজাইন নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার। প্রতিষ্ঠানটি ১৪ কোটি ৩০ লাখ ৬৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে। এই প্রতিষ্ঠানের নামে নেওয়া ঋণের অর্থও মেজর মান্নানের মালিকানাধীন ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে গেছে বলে এজাহারে বলা হয়েছে।

বিআইএফসি থেকে বিপুল পরিমাণের ঋণ অনিয়মের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের সম্পৃক্ততা পায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ কারণে ২০১৫ সালের শেষ দিকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে দুদক ও সিআইডিকে চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

এ বিভাগের আরো খবর