বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চলে গেলেন শিল্পপতি জয়নুল হক সিকদার

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৭:৪৯

এই শিল্পপতির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সিকদার গ্রুপ ও ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নুল হক সিকদার মারা গেছেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের শোকবার্তায় বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৩০ মিনিটে দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।

এই শিল্পপতির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

রাষ্ট্রপতি তার এক শোকবার্তায় মরহুম জয়নুল হক সিকদারের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক শোকবার্তায় বলা হয়, 'সিকদার গ্রুপ ও ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক, বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নুল হক সিকদার- এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।'

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিকদার গ্রুপ জানায়, জয়নুল হক সিকদার ১৯৩০ সালের ১২ আগস্ট আসামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় পরিবারের সঙ্গে বাংলাদেশে চলে আসেন তিনি। জয়নুল হক সিকদার বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার অন্যতম অংশীদার। দীর্ঘ সাত দশকের বেশ সময় ধরে তিনি দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন, পর্যটন, অর্থনীতি, কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন খাতে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। প্রায় ২০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন।

শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ার পাশাপাশি তিনি অসংখ্য উদ্যোক্তা তৈরি করেছেন। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প উদ্যোক্তাদের অনেকের তাদের ব্যবসা শুরুর প্রথম দিকে জয়নুল হক সিকদারের সহায়তা পেয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা ছাড়াও ব্যক্তিগত আগ্রহে তিনি দারিদ্র্য দূরীকরণ ও সমাজের পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক মানুষের কল্যাণে সহায়তা করেছেন।

জয়নুল হক সিকদার ১৯৪৫ সাল থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বস্ত ও ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন বলে সিকদার প্রুপের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার চার দিন পর ১৯ আগস্ট রায়েরবাজারে কুলখানির আয়োজন করেন তিনি। এ জন্য সে সময়ের সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা তাকে নানানভাবে হয়রানি করে ও ভয়-ভীতি দেখায়। সে ঘটনায় তাকে জেলেও যেতে হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে বিচার কার্যক্রম শুরু হওয়া পর্যন্ত এই লম্বা সময় জয়নুল হক সিকদার তার প্রিয় ‘মুজিব ভাই’ এর প্রতি ভালোবাসা থেকে খাটে না ঘুমিয়ে ঘরের মেঝেতেই ঘুমাতেন।

এ বিভাগের আরো খবর