ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন।
ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের বারবাজার এলাকায় বুধবার দুপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, যশোর থেকে মাগুরাগামী জিকে পরিবহনের বাস বারবাজার এলাকায় পৌঁছালে ঝিনাইদহ থেকে যশোরগামী ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে উল্টে যায় বাসটি। ঘটনাস্থলেই শিশুসহ নিহত হন ৯ জন। যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক এক জনকে মৃত ঘোষণা করেন। আর কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন এক জন।
নিহতদের মধ্যে এক জন শিশু, এক জন নারী ও ৯ জন পুরুষ।
দুর্ঘটনায় আহত হন অন্তত ১৫ জন। এখন পর্যন্ত নিহত আট জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
তারা হলেন কালীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের মুস্তাফিজুর রহমান, ভাটপাড়া গ্রামের সনাতন দাশ, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার রেশমা, আলমডাঙ্গা উপজেলার ওয়ালিউল আলম শুভ, শৈলকুপা উপজেলার বগুড়া গ্রামের আব্দুল আজিজ, সদর উপজেলার নাথকুন্ডু গ্রামের ইউনুস আলী, কোটচাঁদপুর উপজেলার হরিন্দিয়া গ্রামের হারুন অর রশিদ সোহাগ, বড়ই গ্রামের উজ্জ্বল কুমার ও মাগুরা সদরের বড়ই গ্রামের।
সংঘর্ষের পর উল্টে যায় গড়াই পরিবহনের বাসআহত কয়েকজনকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুই থেকে তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
দুর্ঘটনার পর ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কে প্রায় দেড় ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন এ পথের যাত্রীরা।
ঘটনাস্থলে ছুটে যান জেলা প্রশাসক (ডিসি) সরোজ কুমার নাথ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবর্ণা রানী সাহা। এ সময় নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দেন ডিসি।
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ট্রাক-নসিমন সংঘর্ষে নিহত হন ছয় জন।