বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পদ্মা সেতুতে যান চলবে সামনের বছরের জুনে: কাদের

  •    
  • ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৩:২৪

কাদের বলেন, ‘পদ্মা সেতুর চলমান নির্মাণকাজের ধারাবাহিকতায় আগামী বছরের জুনের মধ্যেই সেতুর অবকাঠামো নির্মাণকাজ শেষ করে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।’

আগামী বছরের জুনেই পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

কাদের বলেন, ‘স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধিবিষয়ক কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে, যা সত্য নয়। পদ্মা সেতুর চলমান নির্মাণকাজের ধারাবাহিকতায় আগামী বছরের জুনের মধ্যেই সেতুর অবকাঠামো নির্মাণকাজ শেষ করে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

‘২০২৩ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধির যে কথা বলা হয়েছে, তা নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য। যদি কোনো মেরামতের প্রয়োজন হয়, সে জন্য তাদের ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত সময় দেয়া হবে। সেতুর সব ফিজিক্যাল ওয়ার্ক শেষ করার লক্ষ্য ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। আমি আশাবাদী, ২০২২ সালের আগেই সব ফিজিক্যাল ওয়ার্ক শেষ হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘২০২৩ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ডের অংশ। মেয়াদ বৃদ্ধির সঙ্গে মূল সেতুর ফিজিক্যাল ওয়ার্ক সম্পর্কিত নয়। বড় প্রকল্পের ঠিকাদারদের দায়বদ্ধ রাখতে সাধারণত ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড ধরা হয়।’

এ সময় সেতু নির্মাণ নিয়ে নেতিবাচক প্রচারে বিভ্রান্ত না হতে সবাইকে আহ্বান জানান তিনি।

গত বছরের ১০ ডিসেম্বর শেষ হয় পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যান বসানোর কাজ। আর এর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় সেতুর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার।

দেশের সবচেয়ে বড় এই সেতুর জন্য শুরু থেকে অর্থায়ন জটিলতা ছাড়াও নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হয়েছে। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ওঠে মাটির নিচের গঠনজনিত জটিলতা নিয়ে। ৪২টি পিলারের মধ্যে ১৪টির নকশা পাল্টাতে হয়েছে। সেটির সমাধানও হয়েছে অভিনব উপায়ে।

২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর মূল নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুর মূল কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

সরকারের সম্ভাব্যতা জরিপে বলা হয়, সেতুটি নির্মিত হলে দেশের জিডিপি ১ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। এতে ওই অঞ্চলের মানুষের আয় বাড়বে ১ দশমিক ৪ শতাংশ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে ৭ লাখ ৪৩ হাজার মানুষের।

জাপান সরকারের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার সমীক্ষাতে বলা হয়, পদ্মা সেতুর কারণে জিডিপি বাড়বে ১ দশমিক ২ শতাংশ। এতে আরও বলা হয়, পদ্মা সেতু দিয়ে প্রতিদিন ২১ হাজার ৩০০ যান চলাচল করবে। ২০২৫ সাল নাগাদ এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৪১ হাজার ৬০০।

অন্যদিকে বিশ্বব্যাংকের সমীক্ষায় বলা হয়, পদ্মা সেতু চালু হলে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে ১ শতাংশ হারে।

এ বিভাগের আরো খবর