সমুদ্রের মধ্যে মাটি ফেলে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে। আর এ জন্য দুটি চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মঙ্গলবার চুক্তিও সই করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
রানওয়ে সম্প্রসারণে মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলায় বেবিচক সদরদপ্তরে ঢাংজিয়াং ইচাং ওয়াটারওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যুরো ও চীনা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরশেন জেভির প্রতিনিধি ইয়াং জিজুন এবং বেবিচক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান এ চুক্তিতে সই করেন।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের বর্তমান রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৯ হাজার ফুট। এতে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে আরো ১ হাজার সাতশ ফুট। সম্প্রসারিত হতে যাওয়া রানওয়ের ১ হাজার তিনশ ফুটই থাকবে সমুদ্রের উপর। কক্সবাজার বিমানবন্দরের মহেশখালী চ্যানেলের দিকে ল্যান্ড রিক্লেমেশন প্রক্রিয়ায় সম্প্রসারিত হবে এ রানওয়ে।
সাধারণত এ প্রক্রিয়ায় সমুদ্রের তলদেশে ব্লক তৈরি করে এর উপর স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। দেশে এই প্রথম কোনো বিমানবন্দরের রানওয়ে তৈরি হচ্ছে এ প্রক্রিয়ায়।
রানওয়ে সম্প্রসারণে মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলায় বেবিচক সদরদপ্তরে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে
প্রকল্পের আওতায় এক হাজার সাতশ ফুট রানওয়ে সম্প্রসারণ করা হবে। পুরো প্রকল্পের অর্থায়ন করছে বেবিচক। এতে খরচ হবে ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
গত ৬ জানুয়ারি প্রকল্পটি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বেবিচক কর্মকর্তারা জানান, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার প্রক্রিয়া হিসেবে এই সম্প্রসারণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। রানওয়ে সম্প্রসারণ হলে এই বিমানবন্দরে বোয়িং ট্রিপল সেভেন ও বোয়িং সেভেন ফোর সেভেন মডেলের সুপরিসর উড়োজাহাজ ওঠা-নামা করতে পারবে।