বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউল্যাবছাত্রীর ঘটনায় আত্মসমর্পণকারী বন্ধু রিমান্ডে

  •    
  • ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২২:৫৭

গত ৪ ফেব্রুয়ারি এই আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে জামিন আবেদন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিল আদালত।

ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) শিক্ষার্থীকে মধ্যপান করিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় তার আত্মসমর্পণকারী বন্ধুকে এক দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের হাকিম নিভানা খায়ের জেসি এ অনুমতি দেন।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাজেদুল হক তাকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন। আদালত রিমান্ড শুনানির জন্য মঙ্গলবার তারিখ দেন।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি এই আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে জামিন আবেদন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিল আদালত।

গত ৩১ জানুয়ারি মামলায় ওই শিক্ষার্থীর দুই বন্ধুকে পাঁচ দিন করে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পায় পুলিশ। তাদের মধ্যে প্রধান আসামি গত ৬ ফেব্রুয়ারি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

মামলায় গ্রেপ্তার ওই শিক্ষার্থীর বান্ধবীকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি পাঁচ দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পায় পুলিশ, যার বাসায় তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।

ইউল্যাবের ওই শিক্ষার্থী ৩১ জানুয়ারি রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগেই তাকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন তার বাবা। এই মামলার আগেই মারা যান এক আসামি।

মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে যাকে আসামি করা হয়েছে, তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম।

মামলায় বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে আসামি করা দুজনসহ উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে যান ওই শিক্ষার্থী। সেখানে আরও দুজন আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন।

রেস্টুরেন্টে অতিরিক্ত মদ পান করানোয় শিক্ষার্থী অসুস্থ বোধ করেন। সেখান থেকে মোহাম্মদপুরে এক বান্ধবীর বাসায় যান তারা। সে বাসায় এক নম্বর আসামিও যান। রাতে তার দ্বারাই শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হন। এরপর ওই বাসায় থাকা অবস্থায় একাধিকবার বমি করে অসুস্থ হন ওই ছাত্রী। এ অবস্থায় পরদিন সকাল সাতটার দিকে প্রথমে ইবনে সিনা হাসপাতাল ও পরে আনোয়ার খান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় আইসিইউতে রাখা হয় তাকে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও জোনের ডিসি হারুন অর রশীদ বলছেন, ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামির সঙ্গে মেয়েটির পূর্ব সম্পর্ক ছিল।

নিহত ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্ত করা চিকিৎসক শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সেলিম রেজা।

এ বিভাগের আরো খবর