বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিরিজ বোমা হামলা: সাতক্ষীরায় ছয় মামলার রায় বুধবার

  •    
  • ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২০:৫৪

এসব মামলায় ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আসামিদের মধ্যে ৯ জন কারাগারে ছিলেন। তাদের মধ্যে বাঁকাল ইসলামপুরের নাসিরুদ্দিন দফাদার ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা কারাগারে মারা যান। ১০ জন জামিনে ছিলেন। পলাতক রয়েছেন চার আসামি।

দেশের ৬৩ জেলায় ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলায় সাতক্ষীরার ছয় মামলায় বুধবার রায় দেবে আদালত।

সাতক্ষীরার পাঁচ স্থানে বোমা হামলার ঘটনায় পুলিশের ছয় মামলার যুক্তিতর্ক মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। পরে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক শরিফুল ইসলাম রায়ের দিন ঘোষণা করেন।

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) চালানো ওই সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় প্রথমে পাঁচটি মামলা করে পুলিশ। ২০০৭ সালে আরেকটি মামলা করেন সদর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোহাম্মদ।

এসব মামলায় ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আসামিদের মধ্যে ৯ জন কারাগারে ছিলেন। তাদের মধ্যে বাঁকাল ইসলামপুরের নাসিরুদ্দিন দফাদার ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা কারাগারে মারা যান। ১০ জন জামিনে ছিলেন। পলাতক রয়েছেন চার আসামি।

জামিনে থাকা ১০ আসামির মধ্যে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে মমতাজউদ্দিন ও নূর আলী ছাড়া অন্যদের মঙ্গলবার কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।

পলাতক চার আসামি হলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পাথরঘাটা গ্রামের ফখরুদ্দিন রাজি, সাতানির আবুল খায়ের, কলারোয়ার পাটুলি গ্রামের নাঈমুদ্দিন ও মনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল।

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পিপি আবদুস সামাদ জানান, ২০০৫-এর ১৭ আগস্ট শহরের শহিদ রাজ্জাক পার্ক, জেলা জজ আদালত চত্বর, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত চত্বর, বাস টার্মিনাল ও খুলনা মোড়সহ পাঁচটি স্থানে একযোগে ওই বোমা হামলা ও নিষিদ্ধ লিফলেট ছড়ানোর ঘটনা ঘটে।

ঘটনার দিনই সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বোমা হামলাকারী শহরতলির নাসিরুদ্দিন দফাদারকে আটক করা হয়।

পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, সাতক্ষীরার রসুলপুরে জেএমবির ঘাঁটি চিহ্নিত এবং ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০০৬ সালের ১৩ মার্চ সিআইডি পাঁচ মামলায় অভিযোগপত্র দেয়ার পর তা খুলনার দ্রুত বিচার আদালতে পাঠানো হয়। তবে যথাসময়ে নিষ্পত্তি না হওয়ায় ২০০৭ সালের ২৫ জুন মামলাগুলো আবার সাতক্ষীরার আদালতে ফেরত আসে।

২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে মামলাগুলোর বিচারকাজ শুরু হয়। ২০০৭ সালে করা অন্য মামলাটির বিচারও এ সময় শুরু হয়।

এ বিভাগের আরো খবর