৯ দফা দাবিতে শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে ধর্ষণবিরোধী গণসমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছে।
প্রগতিশীল ছাত্র, নারী, যুব ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর প্ল্যাটফর্ম ‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ থেকে এই সমাবেশের ডাক দেয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন আয়োজকরা।
এ সময় লিখিত বক্তব্য দেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স।
ধর্ষণ, নিপীড়ন বন্ধে সরকার ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে এই ছাত্রনেতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ চান। বলেন, ‘আমরা ৯ দফা দাবি তুলে ধরেছি। এই দাবিগুলো বাস্তবায়ন হলেই নিরাপদ সমাজ গড়া সম্ভব হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা দাবিগুলো হলো- ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতায় যুক্তদের শাস্তি কার্যকর, আদিবাসী নারীদের ওপর সব রকমের যৌন ও সামাজিক নিপীড়ন বন্ধ করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব প্রতিষ্ঠানে নারী নির্যাতনবিরোধী সেল কার্যকর করা, ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে সাক্ষ্য আইন বিলোপ এবং মামলার ডিএনএ আইনকে সাক্ষ্যপ্রমাণের ক্ষেত্রে কার্যকর করা, অপরাধ বিজ্ঞান ও জেন্ডার বিশেষজ্ঞদের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অন্তর্ভুক্ত করা।
প্রগতিশীল জোটগুলোর কয়েকজন নেতা দাবি করেন, পাড়ায় পাড়ায় গণকমিটি করে ধর্ষণ প্রতিরোধে উদ্যোগ নেয়া জরুরি। ধর্ষণের মনস্তত্ত্ব তৈরি ও নারীকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে দেখার দৃষ্টিভঙ্গির বিপরীতে নারী-পুরুষের সমতার সমাজ বিধানের লড়াই প্রয়োজন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি মাসুদ রানা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মাসুম, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি শিলা দত্ত, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অমল ত্রিপুরা।
এ সময় তারা তাদের ধর্ষণবিরোধী গণসমাবেশে অংশ নিয়ে ধর্ষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে গণজাগরণ সৃষ্টি করতে দেশের সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান।