আল জাজিরার প্রতিবেতনে সত্যতা থাকলেও এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর।
তিনি বলেন, ‘একটা রাষ্ট্রের জন্য এটি স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন। আল-জাজিরা কিন্তু কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছাড়া এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে নাই। আমরা বলছি সত্যতা আছে কিন্তু একই সঙ্গে পলিটিক্যালি মোটিভেটেড। কারণ এই সরকার যতদিন ক্ষমতায় আছে আমেরিকা, চীন আর ভারত চাচ্ছে বাংলাদেশকে একটা পকেট বানাতে। কাজেই দুই পরাশক্তি এবং পার্শ্ববর্তী দেশের ত্রিমুখী প্রতিযোগিতা।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মঙ্গলবার পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ছাত্র অধিকার পরিষদ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে এ মন্তব্য করেন নুর।
এসময় শুধু সেনাবাহিনীকে নয়, গোটা দেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন নুর।
তিনি বলেন, ‘সার্বভৌমত্বের প্রতীক সেনাবাহিনীকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আমি মনে করি শুধু সেনাবাহিনীকে নয়, গোটা দেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ছাত্র, যুবক বন্ধুদের বলবো - আপনারা চোখ-কান খোলা রাখেন।’
নুর বলেন, ‘এই সরকার তো ভোটে নির্বাচিত নয়। তারা টিকে আছে তথাকথিত অপশক্তির কারণে। তাই নতুন কাউকে ক্ষমতায় এনে সত্য উন্মোচন করা হয়েছে। এটাকে সত্য বলতে পারেন আবার ষড়যন্ত্র বলতে পারেন। সত্য বলার পরিবেশ না থাকলে ষড়যন্ত্র করে পরিবেশ তৈরি করবে।’
পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সব দাবি যৌক্তিক জানিয়ে নুর বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনায় যারা কর্মহীন হয়েছে, সে দেশের সরকার ভর্তুকি দিয়েছে, রাষ্ট্র ভরণ পোষণের দায়িত্ব নিয়েছে। অথচ আমাদের সরকার দুই হাজার ৫০০ টাকাতেই সীমাবদ্ধ।
‘মুজিববর্ষের উপহার ঘর দিচ্ছেন, ঘর উঠতে না উঠতে ভেঙে পড়ে মানুষের গায়ে। প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই - আপনার অনেক ভালো উদ্যোগ আপনার আশপাশে থাকা চোর-বাটপার ও দুর্নীতিবাজদের কারণে ভেস্তে যাচ্ছে। আমরা যারা আপনার সমালোচক, ভালোর জন্য সমালোচনা করি, দুর্ভাগ্যজনক আপনারা আমাদের কথা নেন না।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক খান, আবু হানিফসহ সংগঠনটির শীর্ষ নেতাকর্মীরা।