বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আদালতে যাননি ইরফান সেলিম, অব্যাহতি শুনানি পেছাল

  •    
  • ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৯:৪০

গত বছরের ২৮ অক্টোবর র‍্যাব-৩-এর কর্মকর্তা ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক রাখার অভিযোগে চারটি মামলা করেন।

আদালতে হাজির না থাকায় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমপুত্র ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বরখাস্ত কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের অস্ত্র মামলায় অব্যাহতি চেয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়ে দিয়েছে আদালত। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি শুনানির নতুন তারিখ দিয়েছে আদালত।

গত বছরের ২৮ অক্টোবর র‍্যাব-৩-এর কর্মকর্তা ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক রাখার অভিযোগে চারটি মামলা করেন।

এর মধ্যে দুটি মামলা ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে ও অপর দুটি মামলা তার দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে।

৮ ফেব্রুয়ারি সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে ইরফান সেলিমের অব্যাহতির শুনানির তারিখ ছিল। এ দিন ইরফান সেলিমকে কারা কর্তৃপক্ষ আদালতে হাজির করতে পারেননি। অব্যাহতির শুনানিতে উপস্থিত থাকা আবশ্যক বিধায় তার শুনানি পিছিয়ে দেয় আদালত।

বিষয়টি ইরফান সেলিমের আইনজীবী শ্রী প্রাণ নাথ নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ৪ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ইরফান সেলিমের অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে প্রতিবেদন দেন।

তার দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অপরাধের সত্যতা পাওয়ায় একই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়।

গত ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে নিউ মার্কেট থেকে বাসার দিকে যাচ্ছিলেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের গাড়িটি তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়।

এরপর তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে ওই গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন ইরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা গাড়ি থেকে বের হয়ে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। এ সময় তার স্ত্রীকেও গালাগাল করা হয়।

এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু ও গাড়িচালক মিজানুর রহমান এবং অজ্ঞাতনামা দুই-তিন জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন।

ওইদিনই পুরান ঢাকার বড় কাটরায় ইরফানের বাবা হাজী সেলিমের বাড়িতে দিনভর অভিযান চালায় র‌্যাব। সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ইরফান ও তার দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লাকে।

অভিযানে ইরফানের কক্ষে অবৈধ ৩৮ থেকে ৪০টি ওয়াকিটকি ও বিদেশি মদ পাওয়া যায়। এ ছাড়া একটি অবৈধ পিস্তল ও এয়ারগান উদ্ধার করা হয় বাসাটি থেকে। এই ঘটনায় অস্ত্র ও মাদক আইনে আলাদা মামলা হয় হাজী সেলিমপুত্রের বিরুদ্ধে।

এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার অভিযোগে ইরফান সেলিমকে এক বছর কারাদণ্ড দেয়। ইরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এ বিভাগের আরো খবর