রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী এলাকার ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মফিজুর রহমান মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম জানিয়েছেন, সোমবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে পল্লবীর বাইতুন নুর জামে মসজিদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের একটি দল।
তিনি জানান, রাষ্ট্রবিরোধী একটি সন্ত্রাসী চক্র ‘টার্গেট কিলিং’ ও ‘ব্যাপক সহিংসতা’ সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চোরাবাজার থেকে অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা করছে- এমন তথ্য পায় ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।
চক্রটির সঙ্গে জঙ্গি-সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে, এমন সন্দেহে ছায়া তদন্ত শুরু করে বিভাগটি। এক পর্যায়ে চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। সোমবার সকালে পল্লবীর বাইতুন নুর জামে মসজিদের পাশের রাস্তা থেকে সন্ত্রাসী চক্রটির সদস্য সন্দেহে এক জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা ইফতেখায়রুল জানান, প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ব্যক্তি পল্লবীর শীর্ষ সন্ত্রাসী ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফেরারি আসামি মফিজুর রহমান মামুন বলে জানা যায়। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, খুন, মাদক, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার ও ডাকাতির অভিযোগে পল্লবী থানায় ২৭টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও দুই মামলায় সাজা পরোয়ানা রয়েছে।
তিনি জানান, মামুন একসময় মিরপুরের আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণ করতেন। তিনি ২০০১ সালে কিছু দিন কারাভোগের পর ২০০৪ সালে পালিয়ে ভারত যান। মামুন পাসপোর্ট জালিয়াতি ও অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২০০৮ সালে ভারতে গ্রেপ্তার হন এবং ১০ বছর সাজা ভোগ করেন।
তারপর ভারতে বসেই মিরপুরের অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী ইব্রাহিম ও সাহাদাত বাহিনীর প্রধান সাহাদাতের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাদের মাধ্যমে মিরপুর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠায় তৎপর ছিলেন মামুন।
অতিরিক্ত উপকমিশনার ইফতেখায়রুল আরও জানান, মামুন বিভিন্ন সময় প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের ফোন করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চাঁদা চাইতেন। অপরাধ জগতে অবস্থান সুসংহত করতে সম্প্রতি তিনি ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন।